মাসের শেষ সপ্তাহ স্বাভাবিকভাবে পকেট টান পড়েছে তো। আর এক দিকে মাছের বাজার এ দামের পারদ চরছে।কিন্তু, মাছ ছাড়া তো আর বাঙ্গালির চলবে না। তাহলে একবার ফ্রিজে উঁকি মেরে দেখুন তো যেকোনো মাছের একটা বড় সাইজ এর পিস আছে কিনা, ব্যাস তাহলেই বানিয়ে ফেলুন মাছ আর বেগুন এর যুগলবন্দীতে দারুন এই রান্না। এই রান্নাটার বিশেষ কোন নাম নেই,আগে রান্না টা করে খান, তারপর একটা নিজের মত করে ভাললাগে সেইরকম একটা নামকরন করে দিন। তাহলে শিখে নিন এই সহজ রেসিপিটা।
উপকরনঃ-
১। বেগুন – ৩০০-৩৫০গ্রাম(ছোট ছোট সাইজ করে কেটে নিন)
২। পেঁয়াজ – ১টি (কুচোনো করে কাটা)
৩। তেল: ২চা চামচ (১চা চামচও নিতে পারেন প্রয়োজন অনুসারে)
৪। হলুদ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
৫। আদা-রসুন বাটা: ১+১/২ চা চামচ
৬। ধনে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
৭। জিরে গুঁড়ো: পরিমানমত
৮। কাঁচা লঙ্কা: ১টি
৯। মাখন : ১/২ চা চামচ
১০। টম্যাটো: ১টি (কুচোনো করে কাটা)
পদ্ধতিঃ-
স্টেপ ১। বেগুনের টুকরো, টম্যাটো কুচি ও কাঁচালঙ্কা কুচি একসাথে মিশিয়ে নিয়ে দশ মিনিটের জন্য একটা বাটিতে রেখে দিন।
স্টেপ ২। ভেটকি বা কাতলা-রুই, বড় যে মাছই হোক টার একটা টুকরো হলুদ ও নুন দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে রাখুন।
স্টেপ ৩। এরপর মাছটাকে হাল্কা হাল্কা ভেজে নিয়ে আলাদা বাটিতে রাখুন। কাটাগুলোকে ছাড়িয়ে নিন ঠাণ্ডা হবার পর।
স্টেপ ৪। একটা কড়াইতে তেল দিন ও তেলটাকে গরম হতে দিন। এরপর বেগুনে – টম্যাটো মিশ্রণটা তাতে দিন ও টার সাথে পেঁয়াজ, আদা-রসুন বাটা, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো যোগ করুন ও কষান কিছুক্ষণ।
স্টেপ ৫। বেগুন নরম হলে তাতে সামান্য জল দিয়ে দিন।
স্টেপ ৬।মাছটাকে ছেড়ে দিন ও মিশ্রনটাকে ভাল করে নাড়তে থাকুন। তাতে মাখন যোগ করুন।
স্টেপ ৭। রান্না হয়ে গেলে তারমদ্ধে লঙ্কা ও কুচোনো ধনেপাতা ছড়িয়ে দিয়ে ও গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন
করুন।