প্রায়শই বাঙালি খাবারে ব্যবহৃত হয়ে থাকে কচুশাক রেসিপি ওরফে তারো মিশমাশ। ইলিশ ছাড়া আরেকটি প্রিয় মাছ হু চিংড়ি যেটা দিয়ে বাঙ্গালিরা নানা রকম রান্না বানিয়ে খেয়ে থাকে। মাঝারি আকারের চিংড়ি রান্নায় ব্যবহার করতে বেশি ভালবাসে বাঙালিরা তাই চিংড়ি ও কচুশাক দিয়ে কিভাবে এই দারুন পদ টি বানাবেন নিচে দেওয়া রইল তার বানানোর পদ্ধতি।
কি কি লাগবে চিংড়ি দিয়ে কচুশাঁক বানাতে
- সিদ্ধ তারো বা কচু শাক – 100 গ্রাম
- চিংড়ি – ২০০ গ্রাম
- নুন – প্রয়োজন মতো
- সরিষার তেল – প্রয়োজন মতো
- হলুদ – ১/২ চামচ
- চেরা সবুজ লঙ্কা – ৪টি
- কালো জিরা – ১/২ চামচ
- কুচোনো বড় সাইজের রসুন – ১টি রসুন
- মাখন – ১চামচ
কি ভাবে বানাবেন চিংড়ি দিয়ে কচুশাঁক
স্টেপ ১। চিংড়ি মাছকে নুন ও হলুদ মাখিয়ে সেদ্ধ করে নিন।
স্টেপ ২। গ্যাস জ্বালিয়ে নিয়ে তার ওপর কড়াই বসিয়ে নিন ও গরম করে নিন কড়াই কে।
স্টেপ ৩। কড়াই গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে বেশি পরিমানে তেল দিয়ে দিন। তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে দিয়ে দিন কালো জিরা।
স্টেপ ৪। একটি সুন্দর সুগন্ধ যখন বেরবে কালোজিরার তখন কাঁচা লঙ্কা ও রসুন কুচোনোকে দিয়ে দিন কড়াইএর মধ্যে। মাখন যোগ করে দিন।
স্টেপ ৫। ভেজে নিন হালকা বাদামী রঙের হওয়া অব্দি উপকরনগুলোকে।
স্টেপ ৬। এরপর এরমধ্যে দিয়ে দিন চিংড়ি মাছগুলোকে আর ভেজে ফেলুন হাল্কা করে নেড়েচেরে ২ মিনিটের জন্য।
স্টেপ ৭। কচু শাক দিয়ে দিন এর মধ্যে। নেড়ে নিন হাতা দিয়ে একবার এরপর হলুদ ও ১/২ চামচ নুন দিয়ে দিন। হাতা দিয়ে নেড়েচেরে ভাজুন মিনিট পাঁচেকের জন্য।
স্টেপ ৮। গ্যাসের আঁচ বেশি রেখে রান্না করবেন কারন রান্না থেকে যাতে শুকিয়ে যায় জল পুরোপুরিভাবে। রান্না মাখ মাখ হয়ে যাবে। কচু শাঁক যত ভাজা ভাজা হবে তত খেতে স্বাদ লাগবে।
স্টেপ ৯। যখন দেখবেন যে সম্পূর্ণভাবে শুকিয়ে গেছে জল রান্না থেকে তখন গ্যাসের আঁচ নিভিয়ে দিন ও রান্নাকে নামিয়ে নিন।
স্টেপ ১০। গরম গরম ভাতের সাথে চিংড়ি দিয়ে কচুশাঁক সবাইকে খেতে দিন।
আশা করি চিংড়ি দিয়ে কচুশাঁক তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে আমার এই রান্না করার পদ্ধতিটি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। আমার পাঠকদের কাছে রেসিপিটির প্রতিটি দিক সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করার জন্য সবসময়ই চেষ্টা করে থাকি। রেসিপিটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।