উৎসবের মরসুম শুরু হয়েছে এবং এটি মিষ্টি ভোগের সময়। আমরা যতটা মিষ্টি সুস্বাদু খাবারের সাথে পরিচিত হতে ভালবাসি ও আর জানতে চাই ওই সুস্বাদু পদ টি দিয়ে আরও কত নতুন রকরমের আয়জন করা যায়। সেরকম এ ক্ষীর মানেই জিভে জল আনা সুস্বাদু এক ব্যাপার। ক্ষীরের সিঙারা, ক্ষীরের পুর ভরা নানা রকম মিষ্টিতে বাঙালি রান্নঘর বেশ গমগম করে। কিন্তু ক্ষীরের এই আইটেম গুলো ছাড়াও ক্ষীর দিয়ে সুস্বাদু সন্দেশ বানানো যায় খুব সহজেই ও খুব কম উপকরনেই। ক্ষীরের পুস্তিগুন নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এককথায় ক্ষীর বারন্ত বাচ্চাদের আদর্শ। ক্ষীর শুধু নিজে একটি মিষ্টি নয়, অন্যান্য অনেক মিষ্টির প্রধান উপাদান রুপে ক্ষীরকে ধরা হয়। কিন্তু অন্য দিকে ক্ষীর হল ভারতের উত্তর অংশে রান্নার চালের পুডিং।
বাদাম, গুড়, দুধ এবং সুগন্ধি মশলা দিয়ে তৈরি। এই সাধারণ খিরটি মাত্র 10-২০ মিনিটে তৈরি করা যায় এবং এটি উৎসব এ খাওয়ার জন্য দুর্দান্ত একটা পদ। আপনি গুড় যোগ না করেও বাদাম ক্ষীর বানাতে পারেন। কিন্তু যখন এর মধ্যে বাদাম যোগ করেবেন তখন তার স্বাদ একটা আলাদা মাত্রা যোগ করবে। সুতরাং, উৎসবের মরসুমে এই সহজ ক্ষীরের রেসিপিটি চেষ্টা করুন ও বাড়ির বড় থেকে ছোট সবাই কিন্তু আপনা তৈরি বাদাম ক্ষীরের স্বাদ যে খুব পছন্দ হবে সেটা কিন্তু নিশ্চিত, নিচে রইল ক্ষীরের রেসিপি তৈরির সহজ পদ্ধতি।
কি কি লাগবে এটা করতে
ফুল ফ্যাট দুধ – 1 লিটার
ঘি – ১ চা চামচ
গুড়ের শরবত 1/2 কাপ
জাফরান স্ট্র্যান্ড -2 চিমটি
ভাঙ্গা আমন্দ বাদাম – 1 কাপ
আমন্দ বাদাম – 1 কাপ
হালকা গরম দুধ – 2+১/২ টেবিল চামচ
লো ফ্যাট ক্রিম – 1 কাপ
পেস্তা – পরিবেশন এর জন্য
কি ভাবে বানাবেন এই পদটি
স্টেপ১। এই পদটি বানাতে 1 কাপ ভাঙ্গা বাদাম এবং শুকনো রোস্ট নিন। এরপর, একই নন স্টিক তাওএয়াতে ১ চা চামচ ঘি দিন এবং ১ কাপ বাদাম দিয়ে ভাজুন এবং একপাশে রাখুন।
স্টেপ২। এরপর অন্য একটি তাওয়া নিন এবং ১ লিটার দুধ ফুটিয়ে ঘন করে নিন। তারপরে ফ্লেক করা বাদাম, 1 কাপ কম চর্বিযুক্ত ক্রিম যোগ করুন এর মধ্যে এবং মিশ্রণটি রান্না করুন নেড়ে নেড়ে। এর মধ্যে 2 চিমটি জাফরান স্ট্র্যান্ডগুলি হালকা গরম করে ভিজিয়ে রাখুন এবং এটি ক্ষীরে যোগ করুন।
স্টেপ৩। এরপর, পুরো বাদাম গুঁড়ো করে ক্ষীর এ যোগ করুন, ঘন হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। আগুন বন্ধ করে ঠান্ডা হতে দিন এবং খেজুরের গুড়ের শরবত যোগ করুন। ভালো করে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। পেস্তা দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন!