বাঙালির খুবই পছন্দের জিনিস হল ভাজাভুজি খাবার। এমন বাঙালির হদিশ পাওয়া বেজায় মুশকিল যে কিনা চপ-কাটলেট খেতে পছন্দ করেন না। সন্ধের সময় এক কাপ চা এর সাথে গরম ফিশ ফ্রাই পেলে বাঙালির আর কিছু চায় না! সে বিয়েবাড়ি থেকে ঘরোয়া কোনও অনুষ্ঠান হোক — যদি ফিশ ফ্রাই না হয় তাহলে খাবারটা পুরোপুরি ঠিক জমে ওঠে না।
এতদিন অব্দি তপসে কিংবা ভেটকি মাছের ফ্রাই তো ভরপুর খেয়েছেন।কিন্তু জানেন কি লটে মাছ দিয়ে একটা দারুন ফ্রাই রান্না করা যায়। তাই চেখে দেখুন লটে মাছের ফ্রাই , স্বাদ এ তপসে কিংবা ভেটকির থেকে কম কিছু লাগবে না । বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে মজাদার টেস্টই লটে মাছের ফ্রাই। নিচে রইল বানাবার পদ্ধতি।
কি কি লাগবে লটে মাছের ফ্রাই বানাতে
বড় লটে মাছ: ৬-৮ টা
আদা বাটা: হাফ চামচ
কাঁচালঙ্কা বাটা: ১.৫ – ২ চামচ
ধনেপাতা বাটা: ২ চামচ
রসুন বাটা: ৩ চামচ
হলুদ গুঁড়ো: ১/২ চামচ
পাতিলেবুর রস: ৩ চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো: ১ + ১/২ চামচ
ময়দা: ১ + ১/২ কাপ
কর্ন ফ্লাওয়ার: হাফ কাপ
বেকিং পাউডার: ১/২ চামচ
নুন: স্বাদমতো
সাদা তেল: ৩ কাপ
কি ভাবে তৈরি করবেন লটে মাছের ফ্রাই
স্টেপ ১। প্রথমে লটে মাছগুলিকে একটা পাত্রে নিয়ে ভাল করে ৩-৪ বার ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
স্টেপ ২। এ বার একটি পাত্রে একে একে রসুন বাটা, ধনেপাতা বাটা, আদা বাটা,পাতিলেবুর রস, কাঁচালঙ্কা বাটা, সামান্য হলুদ গুঁড়ো, নুন, গোলমরিচ গুঁড়ো যোগ করুন ও একটা চামচ দিয়ে নেড়ে নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
স্টেপ ৩। এর পর এই মশলাটা মাছের গায়ে মাখিয়ে ৩০-৩৫ মিনিট এর জন্য রেখে দিন।
স্টেপ ৪। আরেকটি পাত্র নিন ও সেই পাত্রে কর্ন ফ্লাওয়ার, ময়দা, বেকিং পাউডার, গোলমরিচ, নুন ও পরিমাণ মতো জল দিন ও সমগ্র উপকরন গুলোকে নেড়ে নিয়ে একটা ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। জল বেশি পরিমানে দিয়ে দেবেন না, নইলে পেস্ট তৈরি হবে না।
স্টেপ ৫। এরপর গ্যাস এ একটা কড়াই বসান ও তেল দিন। যখন দেখবেন অল্প অল্প তেল গরম হয়েছে তখন একটা মাছ কে ব্যাটারে ডুবিয়ে নিয়ে তেল এর মধ্যে ছেড়ে দিয়ে লাল করে ভেজে নিন। কড়াই এর জায়গা অনুসারে একসাথে ২-৩ মাছ ও এই ভাবে একসাথে ভাঁজতে পারেন।
স্টেপ ৬। সব মাছ ভাজা হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন ও মাছ গুলো কে নামিয়ে নিয়ে টিসু পেপার এর ওপর কিছক্ষন রেখে দিন অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেবার জন্য।
স্টেপ ৭। গরম ভাতের সঙ্গে বা সস্ দিয়ে স্ন্যাকস হিসাবেও পরিবেশন করতে পারেন লটে মাছের ফ্রাই।