বাঙালির বড়ই প্রিয় জিনিস হল ভাজাভুজি। এমন বাঙালির হদিশ পাওয়া প্রায় যে কিনা ফ্রাই,চপ বা কাটলেট খেতে ভালবাসে না। এক কাপ চা আর তার সাথে গরম গরম ফিশ ফ্রাই হাতের কাছে পেলে আর কী চাই বাঙালি আনন্দে পাগল হয়ে যায়! ফিশ ফ্রাই না হলে ঘরোয়া কোনও অনুষ্ঠান থেকে বিয়েবাড়ি হোক খাবারটা ঠিক ষোলোকলা পুরন হয় না। ফ্রাই হল মাছকে ভেজে নেওয়া। কিন্তু ভাজাটা হবে একটু অন্যভাবে। এ কথা সবাই জানা যে মাছ প্রোটিনের একটা বড় উৎস। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবার জন্য রোজই মাছ খাওয়াটা বাঙালিদের একটা রুটিনের মত। তবে ভাজা মাছ কি রোজ একইরকমভাবে কারোর আর ভাল লাগে? ভেটকি কিংবা তপসে মাছের ফ্রাই তো অনেক খেয়েছেন। আমোদী মাছের ফ্রাই এর স্বাদ নিয়ে কি দেখেছেন কখনও। বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন তাহলে সামান্য কিছু ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে মুচমুচে জিভে জল আনা আমোদী মাছের ফ্রাই। নিচে দিলাম রান্না করার সহজ পদ্ধতি।
কি কি লাগবে আমোদী ফ্রাই বানাতে
- আমুদি মাছ – ২০০ গ্রাম
- লঙ্কাবাটা – হাফ চামচ
- লঙ্কা গুঁড়ো – ১/৪ চামচ
- হলুদ গুঁড়ো – 1/2 চা চামচ
- পেঁয়াজ বাটা – ১+১/২ চামচ
- আদা রসুন কাঁচা লঙ্কা বাটা – ১/২ চামচ
- নুন – পরিমান মত
- বেসন – ৪ চামচ
- কালো জিরে – হাফ চামচ
- ভিনিগার – ১ চামচ
- চিনি – পরিমানমত
কি ভাবে বানাতে পারবেন আমোদী ফ্রাই
স্টেপ ১। প্রথমে একটা বড় প্লেট এ আমোদী মাছগুলো রেখে তার মধ্যে একে একে নুন, ১/৪ চামচ গুঁড়ো লঙ্কা, অল্প গুঁড়ো হলুদ, ১ চামচ পেঁয়াজ বাটা, আদা রসুন কাঁচা লঙ্কা বাটা ও তারপর এক চামচ ভিনিগার যোগ করুন এর মধ্যে। ভিনিগার এর বদলে লেবুর রস দিতে পারেন। স্বাদ কে মানান সই করার জন্য এর মধ্যে এক চামচ চিনি দিয়ে দিন।
স্টেপ ২। এরপর সমস্ত উপকরন গুলো মাছের সাথে মেখে নিয়ে ৫-৭ মিনিটের জন্য মাছগুলোকে এক দিকে রেখে দিন ভাল করে ম্যরিনেট হবার জন্য।
স্টেপ ৩। একটা বাটিতে ৪চামচ বেসন দিন। এরপর ১চামচ ময়দা দিয়ে দিন এর মধ্যে। এর মধ্যে ২ চামচ পেঁয়াজ, আদা, রসুনের রস, পরিমান মত নুন, অল্প লঙ্কা গুঁড়ো, অল্প হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, কালো জিরে, চিনি দিয়ে দিন। জল দিয়ে মাখিয়ে ব্যাটার তৈরি করে নিন। এর মধ্যে দেড় চামচ বেকিংপাউডার দিয়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে আধা ঘণ্টার জন্য রেখে দিন
স্টেপ ৪। ব্যটারটা যেন খুব পাতলা না হয়, একটু ঘন রাখতে হবে।
স্টেপ ৫। আধা ঘণ্টা পর এরপর একটা কড়াইতে পরিমান মত সরষের তেল দিন। তেলটাকে গরম করে নিন। এরপর ম্যরিনেট করে রাখা মাছগুলো এই বেসন গোলা মিশ্রন এর মধ্যে ডুবিয়ে নিয়ে দু দিকে ভাল করে মাখিয়ে নিন মাছের।
স্টেপ ৬। এবার মাছগুলো এক এক করে গরম তেলের মধ্যে ছেড়ে দিন. গাসের আঁচ মাঝারি থেকে একটু কম হতে হবে। মাছগুলোর এক দিক ভেজে নেবার পর উলটে দিয়ে উলটে পালতে নিয়ে ভাল করে ভেজে নিন যতক্ষণ না অব্দি মাছ গুলো সোনালি রঙের হয়ে যাচ্ছে। মাছের গুলো গাসের থেকে তুলেনেবার আগে গাসের আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে তেল গুলো ছেকে নিয়ে আলাদা প্লেট এ রেখে দিন।
স্টেপ ৭। ব্যাস রেডি আমোদী ফ্রাই। সস ও পেঁয়াজের সাথে গরম গরম খেয়ে ফেলুন।
আশা করি কিভাবে আমোদী ফ্রাই তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে আমার এই রান্না করার পদ্ধতিটি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। আমার পাঠকদের কাছে রেসিপিটির প্রতিটি দিক সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করার জন্য সবসময়ই চেষ্টা করে থাকি। আপনি কিভাবে আমোদী ফ্রাই রান্নাটি তৈরি করতে পারবেন সে বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য পেতে পারেন ও বাড়িতে দোকানের মতই সুস্বাদু আমোদী ফ্রাই তৈরি করে সবাইকে খাওয়াতে পারেন। রেসিপিটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।