বাঙালি খুব আবেগপ্রবন হয়ে যাই এই হলুদ ভাতের ব্যপারে। যে কোন উৎসবের ডিন হোক বা ঘরোয়া কোন অনুস ঠান হোক সেই দিন এই হলুদ ভাতের জাদু খাবার টেবিল এ থাকবে না এটা বাঙালি রা ভাবতেই পারে না। আর এই জাদুর নাম হল পোলাও। গোবিন্দ ভোগ চাল দিয়ে তৈরি হয় এই মসালাদার ভাত। আথিতি আপ্যায়ন এর জন্য মনে হয়য় না এর থেকে ভাল আইটেম বেশি কিছু আর আছে। আর সঙ্গে যদি পোলাও এর পরম মিত্র আলুর দম থাকে তাহলে তো এক কথায় ফাটাফাটি। যেকোনো প্রসাদ ভোগ এর সমার্থক শব্দও যেন পোলাও। পোলাও ছাড়া প্রসাদ ভোগ যেন সেটা কে ভোগ বলেও মনে হয়য় না। এতটাই এর স্বাদ এর ব্যাপ্তি।
শোনা যায়, পোলাও যিশুখ্রিস্টের জন্মের 330 বছর আগে প্রথম মধ্যপ্রাচ্যর সমরখন্দ নামক কোন এক জাইগাতে একরকমের সুস্বাদু সুভাস যুক্ত ভাত তৈরি করা হয়েছিল। তারপর আফগানিস্তান উজবেকিস্তান আরবের বিস্তীর্ণ যে জায়গাতে পোলাও ছড়িয়ে পড়েছিল এবং তারপরে সে ভারতে এসেছিল। তারপর আস্তে আস্তে পোলাও এর গুনগান ছড়িয়ে পরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভোজনরসিক দেড় মধ্যে।
এই লোভনীয় জিভ এ জল আনা পদ টা খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারবেন আপনিও। লাগবে না বেশি কিছু। দিলাম নিচে উপকরন তালিকা ও রান্নার পধহতি।
কি কি লাগবে পদটি তৈরি করতেঃ
গোবিন্দ ভোগ চাল – 2 কাপ
কাজুবাদাম – 20টি
কিশমিশ (বড় সাইজ এর) – 20 টা
দারুচিনি স্টিক – 2 ইঞ্চি
এলাছ – ২ টা
লবঙ্গ -2টি
তেজপাতা – 2টি (
হলুদ গুঁড়ো (হালদি) – 2 চা চামচ
আদা, কোড়ানো – 2 চা চামচ
চিনি – ২ টেবিল চামচ
ঘি – 2 -৩ টেবিল চামচ
তেল – 1 টেবিল চামচ
বেরেস্তা: ২-৩ টেবিল চামচ
কি পদ্ধতিতে পদটি বানাবেনঃ
স্টেপ ১। বাঙালি স্টাইলে বাসন্তী পুলাও রেসিপি তৈরি করতে হলুদ দিয়ে গোবিন্দভোগ চাল ছড়িয়ে দিন। চালটি 20 মিনিটের জন্য আলাদা করে রাখুন যাতে চালটি সহজেই গাড়ও হলুদ টা পুরপুরি শোষণ করে নেই।
স্টেপ ২। একটি গভীর ফ্রাই প্যানে, এক টেবিল চামচ ঘি এবং উদ্ভিজ্জ তেল গরম করুন। কাজুবাদাম এবং কিশমিশ কম আঁচে ভাজতে হবে যতক্ষণ না তারা সোনালি বাদামী হয়, তারপর আলাদা করে রাখুন।
স্টেপ ৩। তেজপাতা, চূর্ণ দারুচিনি, সবুজ এলাচ এবং লবঙ্গ একই তেলে কম থেকে মাঝারি আঁচে ভাজুন যতক্ষণ না মশলাগুলি তাদের গন্ধ ছাড়তে শুরু করে।
স্টেপ ৪। আদার পেস্ট যোগ করুন এবং এক থেকে দুই মিনিট রান্না করুন, অথবা যতক্ষণ না কাঁচা আদার গন্ধ চলে যায়।
স্টেপ ৫। এখন চাল যোগ করার সাথে সাথে, মিশ্রণটি আলতো করে নাড়ুন যাতে দানাগুলি ভেঙ্গে না যায়। মাঝারি আঁচে 3-5 মিনিট মৃদু ভাজুন।
স্টেপ ৬। 4 কাপ উষ্ণ জল, চিনি এবং স্বাদে লবণ যোগ করুন (সুবর্ণ নিয়ম: চাল এবং জল সর্বদা 1:2 অনুপাতে হওয়া উচিত)।
স্টেপ ৭। কিশমিশ এবং ভাজা কাজুবাদাম যোগ করুন। প্রায় সমস্ত জল শোষিত হয়ে গেলে, পাত্রটি ঢেকে রাখুন এবং ভাত প্রায় শেষ না হওয়া পর্যন্ত রান্না চালিয়ে যান।
স্টেপ ৮। শিখা বন্ধ করুন, শেষ ঘি ঢেলে ঢেকে দিন এবং অতিরিক্ত 10 থেকে 12 মিনিট বসতে দিন। তৈরি হয়েছে বাসন্তী পুলাও।
স্টেপ ৯। লাউকি রাইতার সাথে বাঙালি স্টাইলে বাসন্তী পুলাও পরিবেশন করুন।