কই মাছের ঝাল, ঝোল ছেড়ে মুখ পাল্টাতে বানিয়ে ফেলুন কই মাছের হর গৌরি

আদ্যোপান্ত বাঙ্গালির পাতে দুপুর বা রাতের খাবারে মাছ না পড়লে ভুরিভোজ  ঠিক সম্পূর্ণ হয় না তা সে  রোজকার ঘরোয়া খাওয়াদাওয়া বা অনুষ্ঠান বাড়ি হোক।  কইমাছ হল বাঙালির প্রাণের দোসর। তাহলে কি শুধু তেল, ঝাল অথবা সর্ষে দিয়েই কই রান্না হবে তা কেন একেবারে ভিন্ন স্বাদের কইয়ের পদ আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এই পদএযেমন একদিকে তেঁতুল আর চিনির মেশান আছে ওপরদিকে তেল ও ঝালের দারুন কমবিনেশান। তাহলে বাঙ্গালির পাতে আজকেই টক-ঝাল-মিষ্টিতে সমৃদ্ধ কই মাছের হর গৌরি দুপুরে ভাতের সাথে মেতে উঠুক। নিচে দেওয়া রইল বানানোর পদ্ধতি।

কি কি লাগবে  কই মাছের হর-গৌরি বানাতে

  • কই মাছ – ৪-৫ পিস
  • সর্ষে বাটা – ১ চামচ
  • জিরে বাটা – ১ চামচ
  • গুঁড়ো ধনে – ১ চামচ
  • কাঁচা লঙ্কা বাটা – ৩-৪ টি
  • গোটা কাঁচা লঙ্কা -৪ -৫ টি
  • গুঁড়ো হলুদ – ১/২ চামচ
  • রসুন বাটা – ১ চামচ
  • পেঁয়াজ বাটা – ১+১/২ চামচ
  • তেঁতুলের পাল্প – ছোট বাটির ৩/৪ ভাগ
  • স্বাদ মতো নুন ও চিনি
  • সর্ষে তেল – পরিমাণমতো
  • জল – পরিমাণমতো

কি ভাবে বানাবেন কই মাছের হর-গৌরি

স্টেপ ১। কেটে নিন কই মাছগুলোকে প্রথমে এরপর জলে ধুয়ে ফেলুন মাছগুলোকে। মাছগুলোকে নুন, রসুন বাটা, হলুদ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দিন মিনিট ১০ এর জন্য।

স্টেপ ২। সর্ষে তেল কড়াইতে দিয়ে তেলকে গরম করে নিন ও ভালো করে ভেজে নিন কই মাছগুলোকে। মাছগুলোকে আলাদা করে রাখুন।

স্টেপ ৩। এরপর সর্ষে বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, নুন মাছ ভাজার তেলের মধ্যেই আরও কিছু তেল যোগ করে দিয়ে দিন। এরসাথে অল্প জল যোগ করে দিন। মশলাটা বেশ নেড়েচেড়ে কষিয়ে ফেলুন।

স্টেপ ৪। এরপর এই কষানো মসলার মধ্যে ভাজা কই মাছগুলো দিয়ে দিন ও একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। মাছ উল্টাবেন না কোনও অবস্থাতেই। যখন দেখবেন যে  ভাজা ভাজা হয়ে গেছে মাছের এক পিঠ, তখন নামিয়ে রাখুন প্লেটের মধ্যে।

স্টেপ ৫। আরেকবার তেল দিয়ে দিন কড়াই এর মধ্যে ও তেলের মধ্যে পেঁয়াজ বাটা, গুঁড়ো লঙ্কা ,গুঁড়ো হলুদ, নুন ও এরসাথে পরিমানমত সামান্য জল যোগ করে দিয়ে কষিয়ে নিন মশলাটা।

স্টেপ ৬। তেঁতুলের পাল্প ও চিনি দিয়ে দিন রান্নার মধ্যে যখন মশলা কষানো হয়ে যাবে। ফুটিয়ে নিন বেশ কিছুক্ষণের জন্য।

স্টেপ ৭। এরপর মাছগুলো এর মধ্যে উল্টো পিঠ করে দিয়ে দিন যাতে মশলা মাছের উলটো পিঠটা ঢেকে দেয়। রান্না করে নিন কিছুক্ষণ সময়ের জন্য।

স্টেপ ৮। মাখামাখা হয়ে গেলে মাছগুলো রান্না কে নামিয়ে নিন ও পরিবেশন করুন গরম ভাতের সাথে।

আমার পচ্ছন্দের রান্না করার সামগ্রী

*****************************************************************************

নন স্টিক ফ্রাইং প্যান(পিজিওন)  –  https://amzn.to/3IDr5py

প্রেসার কুকার(হকিন্স) –  https://amzn.to/3X1KTre

কাঠের চাকি ও বেলনা (সামির সেলস) – https://amzn.to/3CJuNtZ

স্টেনলেস স্টিল কড়াই (বিনোদ প্লাটিনাম) –  https://amzn.to/3D0XGlV

স্প্যাটুলা এবং ব্রাশ (ক্লাজকিট) – https://amzn.to/3X06IaL

ভেজিটেবিল ম্যাশার ও হ্যান্ড ব্লেন্ডার (ওমরটেক্স) – https://amzn.to/3ZF5CTh

ফুড কালার পাউডার – https://amzn.to/3iFjV9W

Leave a Comment