সকালের ব্রেকফাস্ট এ আপনার জন্য ভীষণ স্বাস্থ্যকর একটি ব্রেকফাস্ট হতে পারে পালং শাক ইডলি খাওয়া।এই সহজ ইডলি রেসিপিটি পালং শাক দিয়ে তৈরি করা হয় যেটা কয়েক মিনিটের মধ্যে তৈরি করা যেতে পারে ও ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষ এটি খেতে খুব পছন্দ করবে। সাম্বার এবং নারকেল চাটনির সাথে পালং শাক ইডলি সবচেয়ে ভাল পরিবেশিত হয়।এগুলি প্রস্তুত করা যেমন খুব সহজ তেমনি এটি সুস্বাদু। সবসময়ই উপকারী বলা হয়ে থাকে পালং শাক খাওয়া । পালং শাক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় শরীরে আয়রনের কমতি পুরন করার জন্য ও শক্তি বাড়াতে । ব্লাড প্রেসার ভারসাম্য রাখার পাশাপাশি এতে পাওয়া নাইট্রেট হার্ট সংক্রান্ত রোগও সারায়। বিশেষ করে পালং শাক খাওয়াতে হবে শিশুদেরকে কারন তাদের তাড়াতাড়ি ও ভালো শারীরিক বৃদ্ধির জন্য। তাই সকালের নাস্তায় পালং শাকের সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর ইডলি তৈরি করতে পারেন। এই পদটি একবার আপনি রান্নাঘরে করে দেখতে পারেন। যে পদ্ধতিতে করার জন্য বলছি সেই পদ্ধতিতে একবার করে খেয়ে দেখুন আবার খেতে মন আবার চাইবেই। আসুন জেনে নেই এটি তৈরির পদ্ধতি।
কি কি লাগবে পালং ইডলি বানাতে
- পালং পেস্ট – ১ কাপ
- সুজি – ১ কাপ
- টক দই – ১/২ কাপ
- নুন – ১/২ চামচ
- জল – ১.৫ – ২কাপ
চিনাবাদাম চাটনি তইরির পদ্ধতি
- চিনাবাদাম – ১/৪ কাপ
- কোড়ানো নারকেল – ১/২ বাটি
- কাঁচা মরিচ – 2টি
- রসুনের খোসা ছাড়ানো কোয়া – ৩টি
- নুন – স্বাদ অনুযায়ী
কি ভাবে বানাতে পারবেন পালং ইডলি
স্টেপ ১। প্রথমে জলেতে ৩-৪ বার পালং শাক ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। ধোয়ার পর পালং শাককে বড় বড় টুকরো করে কেটে ফেলুন। পাতায় প্রচুর পরিমানে মাটি থাকে সেইজন্য পালং শাককে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে । এবার মিক্সি জারে ধোয়া ও কেটে নেওয়া পালংশাকগুলোকে রেখে একটি পেস্ট তৈরি করে ফেলুন।
স্টেপ ২। পালং শাকের পেস্ট নিন একটি পাত্রের মধ্যে,তারপরে সুজি, তাজা দই, নুন এর মধ্যে যোগ করে দিন। এগুলো ভালো করে মিশিয়ে ফেলুন নাড়িয়ে নিয়ে।এরমধ্যে জল কিন্তু একেবারেই দেবেন না।উপকরন গুলো ভালো করে মিশিয়ে একপাশে রাখুন কিছুক্ষণের জন্য। একটা ঢাকনা দিয়ে পেস্টটিকে প্রায় মিনিট ১৫ এর জন্য ঢেকে রেখে দিন। এরমধ্যে ইডলির জন্য চাটনি আমরা তৈরি করে নেবো।
চিনাবাদাম চাটনি তৈরির পদ্ধতিঃ
স্টেপ ৩। একটি মিক্সি জারে কোড়ানো নারকেল, চিনাবাদাম,রসুনের খোসা ছাড়ানো কোয়া, কাঁচা লঙ্কা ও নুন ও ২ টেবিল চামচ জল যোগ করে চাটনিটি পিষে নিন। একপাশে রাখুন। এদিকে, সুজিটিকে আমরা দেখে নেবো।
স্টেপ ৪। এখন আমরা চাটনির মধ্যে মসালা যোগ করব। মসালা দেবার জন্য, একটি প্যানে ৩ টেবিল চামচ তেল গরম করুন, তারপরে এক চামচ সরষে, ৬-৭টি কারি পাতা দিয়ে ভেজে নিন। এবার চাটনিতে আগে থেকে তৈরি নারকেল,চিনাবাদাম, রসুন এর মসালা টি যোগ করে দিয়ে নাড়ুন। ব্যাস আপনার ইডলির চাটনি তৈরি।
মেকারে ইডলি তৈরি করা শুরু করুন:
স্টেপ ৫। সুজি ফুলে উঠলে এরমধ্যে এক চা চামচ বেকিং সোডা এবং এক কাপ জল যোগ করে এই ব্যাটার বা মিশ্রন কে পাতলা করতে হবে।তবে ব্যাটারটি কে খুব পাতলা করে ফেলবেন না যেন। একটু ঘন করে রেখে দিন।ইডলি মেকার নেব নিতে হবে এরপর।সামান্য তেল মেকারের সব ছাঁচে লাগিয়ে ২-২ চামচ করে ব্যাটার ভরে দেব।ব্যাটারটি পুরোপুরি পুরবেন না কারন কিছুক্ষন পরে ইডলি ফুলে উঠবে সেই কারনে ।এখন মেকারটি কে মাঝারি গ্যাসএ বসিয়ে দিন,ও মিনিট ১০ এর মত রান্না করতে হবে। ছুরি দিয়ে চেপে ইডলি চেক করে নিন ১০ মিনিট পরে। ইডলি ভালো করে ফুটে উঠলে পরিবেশন করুন চিনাবাদাম চাটনির সঙ্গে।
আশা করি কিভাবে লো পরোটা তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে আমার এই রান্না করার পদ্ধতিটি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। আমার পাঠকদের কাছে রেসিপিটির প্রতিটি দিক সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করার জন্য সবসময়ই চেষ্টা করে থাকি। আপনি কিভাবে লো পরোটা রান্নাটি তৈরি করতে পারবেন সে বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য পেতে পারেন ও বাড়িতে দোকানের মতই সুস্বাদু লো পরোটা তৈরি করে সবাইকে খাওয়াতে পারেন। রেসিপিটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।