আগের দিনের পরে থাকে ভাত দিয়ে শুধু পান্তা ভাত না খেয়ে বানিয়ে ফেলুন না টোম্যাটো রাইস

আমাদের বাড়িতে মাঝে মাঝে বেশ কিছু চাল পরে থাকে এবং তারপরে আমরা সেই পরে থাকা চালগুলি থেকে এমন কিছু তৈরি করতে চাই যেটা বড়দের সাথে ছোটদেরও খেতে খুব ভাল লাগবে আর পরে থাকা সমস্ত চালও শেষ হয়ে যাবে। একটি জনপ্রিয় দক্ষিণ ভারতীয় চালের রেসিপি,যেটা বাকী চাল, টমেটো এবং একগুচ্ছ মশলা দিয়ে সহজেই তৈরি করা যায়। এটি পেঁয়াজ রাইতা এবং বুন্দি রাইতার সাথেও ভাল যায়। আপনি পাপড় বা এমনকি চিপসের সাথে এই টোম্যাটো ভাতের রেসিপিটি একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে পরিবেশন করতে পারেন। ঐতিহ্যগতভাবে, এই খাবারটি নারকেল চাটনি, সম্ভার বা যে কোনও মশলাদার মাছের তরকারি দিয়ে পরিবেশন করা যেতে পারে। সেইজন্য  আজ আমরা এমনই একটি রেসিপি তৈরি করতে যাচ্ছি যেটি আপনি ঘরেই তৈরি করতে পারেন অবশিষ্ট ভাত দিয়ে এবং এর সাথে অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই, এটিও খুব সুস্বাদু। যদি মশলা খেতে পছন্দ করেন তবে আপনি পুরো মশলাগুলিকে শুকিয়ে নেবার পর সেগুলিকে নিখুঁতভাবে পিষে নিতে পারেন এবং তারপরে এই খাবারের স্বাদ বাড়াতে পাউডার হিসাবে এর মধ্যে যোগ করতে পারেন। আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন ও খারাপ কোলেস্টেরল এড়াতে চান, তবে আপনি জলপাই তেলের সাথে  পরিশোধিত তেল দিয়ে এই পদটি বানাতে পারেন।  যাইহোক, যারা বাড়ি থেকে দূরে বসবাস করেন তাদের জন্য এটি একটি দারুন রেসিপি, এটি খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করা যায় এবং এটির সাথে খেতে অন্য কোনও আর সবজিরও প্রয়োজন পরে না।

কি কি লাগবে টোম্যাটো রাইস বানাতে

  • ভাত – ৫ বাটি রান্না করা ভাত
  • মাঝারি পেঁয়াজ – দেড় খানা
  • টমেটো – ১টি
  • কুচোনো ক্যাপসিকাম – ১ টি
  • হলুদ – হাফ ছোট চামচ
  • গুঁড়ো লাল লঙ্কা – হাফ চামচ
  • টমেটো সস – হাফ বাটি
  • তেল – ১ চামচ
  • নুন – স্বাদ অনুযায়ী
  • মটর – ১ বাটি
  • সরু করে কাটা পনির – হাফ কাপ
  • কুচোনো ধনে পাতা – হাফ কাপ
  • সূক্ষ্ম কাটা আদা – ১ চামচ পেস্ট
  • সূক্ষ্ম কাটা রসুন – ১ চামচ পেস্ট
  • কাঁচা লঙ্কা – ৩-৪টি সূক্ষ্মভাবে কাটা
  • পাভ ভাজি মশলা – দুই ছোট চামচ (দিতে পারেন বা নাও দিতে পারেন)

কিভাবে বানাতে পারবেন টোম্যাটো রাইস

স্টেপ ১। আপনি যে সবজি রাখতে চান তা কেটে নিন। পেঁয়াজ এবং টমেটো সূক্ষ্মভাবে কাটবেন না, একটু সাইজ সামান্য বড় বড় করে কাটুন।

স্টেপ ১।এ বার সব মশলা বের করে নিন, এতে আরও স্বাদ আনতে সাধারণ অন্য মশলার বদলে পাওভাজি মশলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যদি পাওভাজি মশলা না থাকে তাহলে বাকি অন্য মসলা যেমন  জিরা গুঁড়া, চাট বা ধনে গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন এই রান্নার মধ্যে। কিন্তু যদি পাওভাজি মসলা আপনার হাতের কাছে থাকে তবে শুধুমাত্র সেই মসলা দিয়ে রান্না করুন ও অন্য কোন মসলা দেওয়ার দরকার নেই এর মধ্যে। ভাতটাও বের করে নিন, যদি ভাত রান্না করে রেখে থাকেন তাহলে সেই চাল ব্যবহার করতে পারেন, বাসি ভাত না থাকলে তাজা ভাতও বানাতে পারেন, যে কোনো ধরনের চাল, বাসমতি বা অন্য যে কোনো থেকে তৈরি করতে পারেন।

স্টেপ ৩। একটি নন স্টিক প্যান গ্যাস এ বসিয়ে তার মধ্যে ২ চামচ তেল বা ঘি গরম করুন, তেল গরম হয়ে গেলে তাতে আদা-রসুন পেস্ট দিয়ে দিন। যদি পেস্ট না থাকে তাহলে আদা রসুন কাটা দিয়ে দিন। আদা রসুন এক থেকে দেড় মিনিট অব্দি ভাজুন এবং তারপরে সুক্ষকরে কাটা পেঁয়াজকে দিয়ে দিন এখনপেঁয়াজটি স্বচ্ছ হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন, পেঁয়াজ বাদামী হতে হবে না।

স্টেপ ৪। যখন পেঁয়াজ স্বচ্ছ হয়ে যাবে তাতে কাটা টমেটো যোগ করে দিন। টমেটো যতক্ষণ না পর্যন্ত গলে ততক্ষন অব্দি রান্না করে নিন।

স্টেপ ৫। টমেটো গলে গেলে তাতে টমেটো সস দিন, ৪ বাটি চালের মধ্যে কমপক্ষে  হাফ বাটি টমেটো সস এর মধ্যে যোগ করে দিন। এবার টমেটো সস যোগ করার পর এতে লাল মরিচের গুঁড়া, পাভ ভাজি মশলা, হলুদ, নুন দিন। এবং এর সাথে কিছু জল যোগ করুন। জল যোগ করলে মশলা ভাতের সাথে তাড়াতাড়ি মিশে যেতে পারে।

স্টেপ ৬। এবার হাতা দিয়ে ভালো করে নেড়ে নেওয়ার পর এতে পনির, মটর, ক্যাপসিকাম দিয়ে দিন। এরপর আরও ৩-৫ মিনিট ভালো করে নাড়তে থাকুন।

স্টেপ ৭। এবার এতে সব চাল দিন, ভালো করে মেশান যাতে মসলা সব চালে মিশে যায়। এবার এর মধ্যেও মিহি করে কাটা ধনে দিন। সবুজ ধনেপাতা যোগ করে আবার নেড়ে নিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে নিন।

স্টেপ ৮। এবার সালাদ গরম গরম সবাইকে পরিবেশন করুন।

আশা করি কিভাবে টোম্যাটো রাইস তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে আমার এই রান্না করার পদ্ধতিটি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। আমার পাঠকদের কাছে টোম্যাটো রাইস রেসিপিটির প্রতিটি দিক সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করার জন্য চেষ্টা করেছি। যাতে আপনি কি ভাবে রান্নাটি তৈরি করতে পারবেন সে বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য পেতে পারেন এবং আপনাকে অন্য কোথাও অনুসন্ধান করতে হবে না।

Leave a Comment