রসগোল্লা আমাদের প্রতেক বাঙ্গালির খুব প্রিয়। কারোর জন্মদিন থেকে বিয়ে বাড়ি জমিয়ে ভুরি ভোজ করার পর শেষ পাতে রসগোল্লা পাতে না পরলে ঠিক মন ভরে না। সারা ভারত জুড়ে সুবিখ্যাত এই বাঙালি রসগোল্লা। এগুলো ছানা দিয়ে তৈরি যে গুলো সাদা বলের আকৃতির টুকরোর মত দেখতে ও বেশ নরম হয়। এই সাদা বলের টুকরো কে চিনির সিরাপ এর মধ্যে ভেজানো হয়। এই সুস্বাদু রসগোল্লা তৈরি হয় প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা এগুলোকে ভিজিয়ে রাখার পর। কিন্তু একঘেয়ে একটা ব্যাপার চলেই আসে যদি ব্যপার টা রোজ একই রকমের হয়। যদি আপনার একঘেয়েমি লাগতে শুরু করে সেই একই রসগোল্লা খেতে খেতে তাহলে মুখের একঘেয়েমি কাটাতে বানাতে পারেন বেকড রসগোল্লা। কোনঅতিথি যদি বাড়িতে আসে তাহলে এই বেকড রসগোল্লা দিয়ে তার খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তুলুন।
কি কি লাগবে বেকড রসগোল্লা বানাতে
- রসগোল্লা – ৮টি (অর্ধেক করে কাটা)
- পনির – এক কাপ
- দুধ – ১/৪ কাপ
- চিনি – ৩ চামচ
- কর্নফ্লাওয়ার – ১ চামচ (জলে গোলা ২ চামচ)
- গুঁড়ো এলাচ – ২ চুটকি
- কাজুবাদাম – পরিমান মত (সাজাবার জন্য)
কি ভাবে বানাতে পারবেন বেকড রসগোল্লা
স্টেপ ১। জলের মধ্যে ১ মিনিট অব্দি রসগোল্লাগুলিকে ভিজিয়ে রেখে দিন।
স্টেপ ২। এরপর রসগোল্লা থেকে রস বের করার জন্য ছেঁকে নিন ভাল করে ও ৪-৫ বার চিঁপে চিঁপে ভেতর থেকে রস বের করে ফেলুন। রসগোল্লার রস সমস্ত ভেতর থেকে বেরিয়ে যাবে।
স্টেপ ৩। একটা জায়গাই সরিয়ে রাখুন আলাদা করে রসগোল্লাগুলোকে।
স্টেপ ৪।এরপর মিক্সির মধ্যে কর্নফ্লাওয়ার, দুধ, পনির, চিনি ও গুঁড়োএলাচ একে একে দিয়ে পেস্ট তৈরি করে ফেলুন।
স্টেপ ৫। রসগোল্লার কাটা দিকটি বেকিং ডিসের তলার দিকে রেখে বসিয়ে দিন।
স্টেপ ৬। এরপর উপর থেকে পনির ও দুধের পেস্টটি ঢালুন রসগোল্লার প্রত্যেকটা টুকরো বেকিং ডিসের নিচের দিকে এক লেভেল এ বসানোর পরে।
স্টেপ ৭। মিনিট ১০ এর জন্য বেক করে নিন ও বেকিং ডিসের তাপমাত্রা ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট রেখে দিন।
স্টেপ ৮। ব্যাস বেকড রসগোল্লা তৈরি হয়ে গেছে। কাজু বাদাম কে ছোট ছোট টুকরো করে নিয়ে ওপর থেকে ছড়িয়ে দিন।
আশা করি কিভাবে বেকড রসগোল্লা তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে আমার এই রান্না করার পদ্ধতিটি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। আমার পাঠকদের কাছে রেসিপিটির প্রতিটি দিক সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করার জন্য সবসময়ই চেষ্টা করে থাকি। আপনি কিভাবে বেকড রসগোল্লা রান্নাটি তৈরি করতে পারবেন সে বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য পেতে পারেন ও বাড়িতে দোকানের মতই বেকড রসগোল্লা তৈরি করে সবাইকে খাওয়াতে পারেন। রেসিপিটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।