সামনেই পুজো।দীর্ঘ এক বছরের প্রতীক্ষা শেষ হবে। বছরে এই সবচেয়ে বড় উৎসবের জন্য বাঙালি দিন গোনে সারা বছর ধরে। বাঙালির যে কোন উৎসবের অপরিহার্য হল জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। দুর্গা পুজোও হবে জমিয়ে পেটপুজো। উৎসবের এই দিন গুলতে কম বেশি স্বাদ বদলের ইচ্ছে প্রায় সকলেরই হয়ে থাকে । বর্ষা প্রায় যাবার মুখে, কিন্তু ইলিশ মাছ এখনও বাজার থেকে ভ্যানিশ হয়ে যাইনি। তাই এই পুজোতে জমিয়ে খান ইলিশের নানা রকম পদ করে। আর ইলিশের পদ বলতেই আমাদের মনে আসে হয় ইলিশ পাতুরি বা ইলিশ ভাপা। আর সারা বছর ধরে তো বাড়িতে রান্না হয়েই থাকে এই সব পদ। তাই পুজোর মরসুমে চাই স্পেশাল কিছু আইটেম সেইজন্য বিরিয়ানির সাথে হয়ে যাক ইলিশ। বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন একদম ঘরোয়া উপায়ে ইলিশ বিরিয়ানি। খুব কম সময়ের মধ্যে। নিচে রইল বানাবার পদ্ধতি।
কি কি লাগবে ইলিশ বিরিয়ানি তৈরি করতে
ইলিশ – ৮ টি মাঝারি টুকরো
বাসমতী চাল – ৫০০ গ্রাম
টক দই – ১০০ গ্রাম
জাফরান- ১ টেবিল চামচ
দুধ- ১/২ কাপ
পেঁয়াজ বাটা ৩ টেবিল চামচ
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
গ্রিন চিলি সস ১ টেবিল চামচ
তেজপাতা – ২ টি
লাল লঙ্কা গুঁড়া- ১ চামচ
গুঁড়ো হলুদ- ১ চামচ
বিরিয়ানি মসালা – ১ চামচ
কালো মরিচ – ৭-৮ টি
নারকেলের দুধ- ১ কাপ
দারুচিনি – ৪ টি
এলাচ – ৪টি
লবঙ্গ – ৪টি
গোলাপজল – ১ চামচ
জল – ১ চামচ
ঘি – ৫ চামচ
চিনি – প্রয়োজন অনুসারে
নুন – প্রয়োজন অনুসারে
তেল – প্রয়োজন অনুসারে
কি ভাবে তৈরি করবেন ইলিশ বিরিয়ানি
স্টেপ ১।মাছের ফিলে গুলোকে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, হলুদ গুঁড়া, লাল মরিচ গুঁড়া, লবণ, টক দই ও জাফরান দিয়ে মেখে নিয়ে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
স্টেপ ২। একটি কড়ায় তেল গরম করে পেঁয়াজ পেস্টটা কে ভাজুন কয়েক সেকেন্ডের জন্য এবং তেজপাতা যোগ করুন।
স্টেপ ৩। ভাজা হয়ে গেলে লবণ, চিনি এবং নারকেলের দুধ দিন এবং কয়েক মিনিটের জন্য ফুটিয়ে নিন।
স্টেপ ৪। ম্যারিনেট করা মাছ যোগ করুন এবং মাছ নরম না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
স্টেপ ৫। জল থেকে চাল বের করে নিন (যেটা আগেথেকে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখেছিলেন) এবং ফুটন্ত জলের মধ্যে চালটাকে দিয়ে দিন ও তারপর দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ এবং সামান্য তেল দিয়ে দিন।
স্টেপ ৬। চাল 80% সিদ্ধ হয়ে গেলে মাড়ের চাল বা মাড় ফেলে দিন এবং এতে ঘি যোগ করুন এবং ভাল করে মেশান। আলাদা পাত্রে রেখে দিন।
স্টেপ ৭। এরপর একটি পাত্র নিয়ে ভাতগুলি ঢালুন ও তার উপরে আগে থেকে যে মাছগুলোকে ম্যারিনেট করে রেখেছিলেন সেগুলো সাজিয়ে দিন। ভাতের ওপরে এক এক করে বিরিয়ানি মসালা, কাজুবাদাম, কিশমিশ, তেল ও কাঁচালঙ্কা, গ্রিন চিলি সস, গোলাপজল দিয়ে দিন। এরপর আটার একটা ঘন মিশ্রন বানিয়ে নিন ও হাঁড়ির মুখটা আটার মিশ্রণ দিয়ে বেশ চেপে আটকান, যেন ভেতরের যে গরম রান্নার ভাপ সেটা যেন হাঁড়ির থেকে বাইরে না বেরিয়ে যায় কোনভাবে। এরপর ৬ মিনিট মতো গ্যাসের আঁচ ঢিমে করে রান্নাটা কে করুন। আঁচটাকে কমিয়ে নিয়ে আরও ৩৫ মিনিটের জন্য রান্নাটা করুন। একটা তাওয়াকে গ্যাস এ বসিয়ে গরম করুন তার উপর আরও মিনিট ২০-২৫ মত রেখে দিয়ে তারপর গ্যাস বন্ধ করে দিন।
স্টেপ ৮। যে পাত্রে বিরিয়ানি করছে সেই পাত্র টি দুই দিকে ভাল করে নাড়িয়ে নিন যাতে মসালা ভাতের সাথে বেশ ঘন ভাবে একসাথে মেশে। এরপর বাড়ির সবাই কে পরিবেশন করুন সালাদ সহযোগে ইলিশ বিরিয়ানি।