পুজো তো একেবারে দোরগোরায় হাজির হয়েছে আমারা সারা বছর এই চারটে দিনের জন্য চেয়ে বসে থাকি এই সময় আমদের অথিতি বন্ধুবান্ধব সবায় যে যেখানেই থাকুক সবাই আমরা একসাথে হই।তাই পুজো তে তো আর যেকোনো ডিশ খাইয়ে আপ্যায়ন করা যাবে না তাদের জন্য কি বানাবেন সেই নিয়ে ভাবছেন তাহলে আজকের যে রান্নাটা নিয়ে আলোচনা হবে সেটা আশা করা যায় আপনার চিন্তা দূর করে দেবে। আজকে নারকেল দিয়ে চিংড়ির এক দারুন রান্নার খোঁজ দেবো যেটা বন্ধুদের সাথে কফির ও চায়ের সাথে আড্ডার আসর মাতিয়ে দেবে, সেই ডিশটা হল ক্রিস্পি ফ্রায়েড কোকোনাট প্রনস। খুব সহজেই কম উপকরনেই বানিয়ে ফেলতে পারবেন। তাহলে জেনে নিন রান্না করার সহজ পন্থা।
কি কি লাগবে নারকেল চিংড়ি বানানোর জন্য
বাগদা চিংড়ি – ১২–২২ পিস (পরিমান অনুযায়ী)
কুড়নো নারকেল – এক কাপ
ময়দা –৩ চামচ
আদা বাটা – ১ চামচ
রসুন বাটা – ১ চামচ
ডিম– ১ টি
নুন – প্রয়োজনমত
লাল লঙ্কা গুঁড়ো
পাতিলেবুর – ১ টি
মাখন – ১/২ চামচ
তেল – পরিমানমত
কি পদ্ধতিতে নারকেল চিংড়ি পদটি বানাবেনঃ
স্টেপ ১। মাছগুলো কে একটা যায়গাই রেখে মাছের মাথাগুলো কেটে বাদ দিয়ে দিন ও তিন চার বার ভাল করে ধুয়ে নিন। তবে লেজ টা কিন্তু ফেলে দেবেন না, ওটা রেখে দিন।
স্টেপ ২। একটা পাত্রে আদা পেস্ট, রসুনের পেস্ট, ময়দা, ডিম একসঙ্গে দিন ও একটা বড় চামচ দিয়ে ভাল করে ফেটান।
স্টেপ ৩। এই মিশ্রণের মধ্যে পরিমান মত নুন, গুঁড়ো লঙ্কা ও পাতিলেবুর রস দিন ও নেড়ে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রন এর মধ্যে চিংড়িগুলো দিয়ে হাত দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন। ৩০ মিনিট এর জন্য এই মিশ্রন টাকে ঢাকা দিয়ে দিন।
স্টেপ ৪। এরপর আর একটি পাত্র বা জায়গা নিন ও তার মধ্যে কুড়নো নারকেল, সামান্য ময়দা, পরিমান্ মত নুন ও সামান্য কিছু গুঁড়ো লঙ্কা দিয়ে নেড়ে নেড়ে মেশান।
স্টেপ ৫। প্রত্যেক টা চিংড়ি নারকেলের মিশ্রণে ভাল করে মখিয়ে নিয়ে আলাদা বাটিতে রাখুন।
স্টেপ ৬। এরপর গ্যাসে নন স্টিক তাওয়ার বসিয়ে ৪চামচ মত তেল দিয়ে তেলটাকে গরম করুন। এক একটা চিংড়ি তেলে ছেড়ে ভাল করে ভেজে নিন।
স্টেপ ৭। সমস্ত চিংড়ি গুলো ভাল করে লালচে লালচে মত ভাজা হয়ে গেলে সসের ও পিঁয়াজ এর সাথে ক্রিস্পি ফ্রায়েড কোকোনাট প্রনস সবায় কে পরিবেশন করুন।