বাচ্চাকে লম্বা বানাতে চান তাহলে তাদের ডায়েটে এই দুটি জিনিষ রাখুন অবশ্যই

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের শরীরে নানা পরিবর্তন দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের উচ্চতা ও ওজন দুটোই বাড়ানো খুবই জরুরি। কিন্তু অনেক সময় বাচ্চাদের বয়স বাড়লেও তাদের উচ্চতা এক জায়গায় থেমে যায়, যা বাবা-মায়ের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। যখন বাচ্চাদের উচ্চতা বন্ধ হয়ে যায়, তখন বাবা-মা প্রায়ই তাদের বাচ্চাদের বিভিন্ন পরিপূরক খাওয়ান, তাদের ডাক্তারের কাছে দেখান, তাদের খাদ্যতালিকায় শুকনো ফল এবং স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করেন। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। কিন্তু আপনিও যদি আপনার সন্তানের উচ্চতা না বাড়া নিয়ে চিন্তিত থাকেন, তাহলে তাদের খাদ্যতালিকায় এই জুসটি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। যার কারণে তাদের উচ্চতা বাড়তে পারে। শুধু তাই নয়, এসব জুস পান করলে শিশুর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না। তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেই জুসগুলো কোনগুলো, যেগুলো খেলে শিশুদের উচ্চতা বাড়বে এবং তাদের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী হবে।

  1. পালং শাকের জুস ছোট বাচ্চারা সবুজ শাকসবজি একেবারেই পছন্দ করে না, তবে এটি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। শুধু তাই নয়, শিশুদের উচ্চতা বাড়াতে তাদের খাদ্যতালিকায় পালং শাকের রস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। শিশুরা পালং শাকের জুস খেতে পছন্দ নাও করতে পারে, কিন্তু তবুও আপনাকে অবশ্যই তাদের খাদ্যতালিকায় পালং শাকের জুস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শিশুদের নিয়মিত পালং শাকের রস খাওয়ালে তাদের ওজন বাড়ে, দৃষ্টিশক্তিও ভালো হয়। শুধু তাই নয়, পালং শাকের রস শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে।

পালং শাকের রস তৈরির পদ্ধতি –

স্টেপ ১। পালং শাকের রস তৈরি করতে পালং শাক নিন, কেটে ধুয়ে নিন।

স্টেপ ২। এবার আপনার সন্তানের পছন্দের যেকোনো ফল কেটে নিয়ে পালক এর সাথে মিক্সার জারে ব্লেন্ড করুন।

স্টেপ ৩। এবার একটি চালুনি দিয়ে পালং শাক ছেঁকে নিন।

স্টেপ ৪। এবার এতে লেবুর রস ও নুন মিশিয়ে বাচ্চাদের পরিবেশন করুন এবং বাচ্চাদের পান করতে দিন।

  1. অ্যাভোকাডো জুস অ্যাভোকাডো ফাইবার সহ অনেক পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এটি একটি খুব উচ্চ ক্যালরিযুক্ত ফল, যা আপনার সন্তানের ওজন বাড়াতে খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। শুধু তাই নয়, এই জুস পান করলে শিশুর হজমের সমস্যাও দূর হয়। শিশুদের চোখের জন্যও অ্যাভোকাডো জুস খুবই উপকারী। এটি শিশুদের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। অ্যাভোকাডো জুস শিশুদের হাড় মজবুত করতেও বেশ কার্যকরী।

অ্যাভোকাডো জুস তৈরির পদ্ধতি-

স্টেপ ১।  অ্যাভোকাডো জুস তৈরি করতে প্রথমে অ্যাভোকাডো নিন এবং ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন।

স্টেপ ২।  এবার একটি মিক্সার জারে অ্যাভোকাডো রেখে তাতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিন।

স্টেপ ৩। আপনার অ্যাভোকাডো জুস তৈরি, প্রতিদিন বাচ্চাদের এই তাজা অ্যাভোকাডো জুস দিন।

Leave a Comment