আম কাতলা হল একটি পুরানো বাঙালি রেসিপি।এই প্রস্তুতিতে, কাতলা মাছের শুকনো আমের টুকরো যোগ করে রান্না করা হয়। আম কাতলা সব সময় গরম ভাতের সাথে খেতে বেশ ভালো লাগে। আম কাতলা একটি খুব সহজ রেসিপি যা প্রস্তুত করতে খুব বেশি কিছু উপাদান প্রয়োজন পরে না। এই রান্নাটির সবচেয়ে ভালো দিক হল এটি মিনিট ৩০ এর মধ্যেই তৈরি করা যায়। যদিও আম কাতলা তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হয়ে যায়, খেতেও এর স্বাদ অসাধারন। এটি একটি অনেকপুরনো রান্না যেটা বহু যুগ ধরে প্রতিটি বাঙ্গালির রান্নাকে আরও সুস্বাদু করে তুলেছে। কোন উপলক্ষ বা উৎসব ছাড়া বাঙালির খাবার মাছের তরকারি কোন পদ ছাড়া পরিপূর্ণ হয় না একেবারেই। সেক্ষেত্রে আম কাতলা আপনি পরিবেশন বাঙ্গালির এর নিয়মিত খাবার এর স্বাদ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভাত ও মাছের ঝোল হল সবচেয়ে প্রিয় খাবার যা একজন বাঙালি প্রায় প্রতিদিনই খেতে পারে কোনো। তাইজন্য তাদেরকে মাছে ভাতে বাঙালি বলা হয়ে থাকে।
কি কি লাগবে আম কাতলা বানাতে
কাতলা মাছের পিস – ৬ টা
বড়ো কুচোনো পেঁয়াজ – ১ টা
শুকনো আমের টুকরো – ২ টি ( একটা আমের চার ভাগের এক ভাগ নিতে হবে)
রসুন ও আদা পেস্ট – ১ চামচ
সরষে বাটা – হাফ চামচ
নুন – পরিমাণমতো
লঙ্কা গুঁড়ো – দেড় চামচ
হলুদ গুঁড়ো – ১/২ চামচ
পাঁচ ফোড়ন – প্রয়োজন অনুসারে
সরষের তেল – ৩ চামচ
কি ভাবে বানাবেন আম কাতলা
স্টেপ ১। কাপ জলের মধ্যে শুকনো আম দিয়ে দিন যাতে ভালোভাবে জলের মধ্যে ভিজে যায় আমগুলো রান্নার পূর্বে। আম কাতলা খেতে ততো বেশি ভালো লাগবে যতো ভালো আম শুকনো হবে। নিজস্ব একটা গন্ধ আছে রয়েছে শুকনো আমের মধ্যে।
স্টেপ ২। এরপর নুন আর হলুদ মাখিয়ে নিন মাছের গায়েতে।
স্টেপ ৩। এরপর গ্যাসের ওপর কড়াই বসিয়ে গরম করে নিন কড়াইকে ও এরপর তেল দিয়ে দিন। এক এক করে মাছের পিসগুলোকে ছেড়ে দিন তেল গরম হয়ে উঠলে।
স্টেপ ৪। কুচোনো পেঁয়াজ ও পাঁচফোড়ন দিয়ে দিন এই তেলের মধ্যে। বেশ ছোট ও সরু সরু করে কেটে নিন পেঁয়াজকে। গ্রেভি যাতে খেতে ভালো লাগে সেইজন্য লাল করে ভেজে নিন পেঁয়াজকে।
স্টেপ ৫। এরপর এরমধ্যে দিয়ে দিন রসুন ও আদা বাটা, হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো আর সর্ষে বাটাটা যখন লাল করে ভাজা হয়ে যাবে পেঁয়াজ। সমস্ত উপাদান ভেজে নিতে হবে তেলের মধ্যে দিয়ে। তবে খেয়াল রাখবেন যেন বেশি ভাজা আবার হয়ে না যায়, বেশি ভাজা হলে তেতো হয়ে যেতে পারে কারন যেহেতু সরষে বাটা দেওয়া আছে মিশ্রন এর মধ্যে।
স্টেপ ৬। এরপর ভেজানো শুকনো আম জল সমেত সাথে ২ কাপ জল ও নুন দিয়ে দিন যখন মশলা ভাজা হয়ে যাবে তখন।
স্টেপ ৭। মিনিট ৫ এর জন্য রান্না করে নিন।
স্টেপ ৮। ভাজা মাছগুলো দিয়ে দিন রান্নার মধ্যে মিনিট ৫ এরপর।
স্টেপ ৯। আরও ২-৩ মিনিট এর মতো রান্নাকে ফুটতে দিন।
স্টেপ ১০। গ্যাসের আঁচ নিভিয়ে দিন ৩ মিনিট পরে। ব্যাস তৈরি হয়ে গেছে সুস্বাদু আম কাতলা। গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন সবাইকে।