একটা নতুন ধরনের কেক খেতে চান? তাহলে বানিয়ে ফেলুন কেক গাজর দিয়ে

গাজর কি শুধু হালুয়া তে দিয়েই খাওয়া হবে , কেক বানাবার জন্যও কিন্তু মুল উপকরন হয়ে উঠতে পারে।যে সব মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হয়েও যাঁরা ভোজনরসিক তাদের জন্যও গাজর খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেক পছন্দ করে ভীষণ বাচ্চা থেকে টিনএজ সবাই, কিন্তু তারা কখনও কখনও প্লেইন স্পঞ্জ কেক খেতে খেতে বিরক্ত হতে পারে। একে অন্যরকম করার জন্য এতে গাজর যোগ করা হয়েছে, যেটা একই সাথে অনেক বেশি ভিটামিন ই সরবরাহ করে। জায়ফল, দুধ, দারুচিনি, গুড় এই কেকটির স্বাদ একটি অন্ন যায়গায় নিয়ে যায়।  দোকানে বাচ্চারা খুব সহজেই রঙিন কেকের প্রতি আকৃষ্ট হয় যখন তারা কেক এবং বেকারির দোকানে লোভনিয় কেক কে সামনে দেখে।সন্তানের অভিভাবক হিসাবে আপনি জানেন যে এই সব কেক গুলোতে খুব বেশি পরিমানে ময়দা এবং চিনিতে পূর্ণ থাকে। এই ধরনের খাবার যদি শিশুদের বা বাচ্চা দের দেওয়া হয়, তাহলে শিশুরা অল্প বয়সেই ওজন বেড়ে গিয়ে স্থুলতা হয়ে যেতে পারে। তাই এই বাচ্চাদের জন্য স্বাস্থ্যকর গাজর কেক দারুন টিফিন হিসাবে যেটা ১ বছরের বেশি বয়সী বাচ্চারা খেতে খুব পছন্দ করবে।  গাজর দিয়ে কেক তো বানাতে চান কিন্তু আভেন তো বাড়িতে নেই তাহলে কি কোন উপায় আছে আভেন ছাড়া বানানোর? আজ্ঞে হ্যাঁ আছে দুটোই হবে গাজর দিয়ে ও আভেন ছাড়া, কি ভাবে হবে রইল তার প্রণালি।

কি কি লাগবে গাজরের কেক  বানাতে

  • আটা – এক কাপ
  • গুঁড়ো দারচিনি – এক চামচ
  • ডিম : ৩টি
  • জায়ফল : ১/২ চামচ
  • বেকিং পাউডার : ১/২ চামচ
  • বেকিং সোডা : ১/২ চামচ
  • কুচোনো গাজর : ৩টে
  • নুন : ১/৪ চামচ
  • ভ্যানিলা এসেন্স : ১ চা চামচ
  • সাওয়ার ক্রিম : আধ কাপ
  • চিনি : ১/২ কাপ
  • আখরোট : ১/২ কাপ
  • ভেজিটেবিল তেল বা ক্যানোলা তেল : আধ কাপ
  • কমলালেবুর রস : ১ টেবিল চামচ
  • ব্রাউন সুগার – ১/২ কাপ

কি ভাবে বানাবেন  গাজরের কেক

স্টেপ ১। একটি বড় বাটিতে আটা, বেকিং সোডা, গুঁড়ো দারচিনি,  গুঁড়ো জায়ফল, নুন একে একে দিয়ে বেশ  ভাল করে মেশান।

স্টেপ ২। এরপর আরেকটি বাটিতে ডিমগুলো নিয়ে সেগুলো ভাল করে ফেটিয়ে নিন। তারপর এক এক করে সাওয়ার ক্রিম, ভেজিটেবিল তেল বা ক্যানোলা তেল, চিনি, ব্রাউন সুগার, ভ্যানিলা এসেন্স, কমলালেবুর রস ও দিয়ে ভাল করে নাড়িয়ে নিয়ে মেশান।

স্টেপ ৩। ময়দা পরিমান মত দিয়ে দিন এই ডিমের মিশ্রণের মধ্যে ও বেশ ভাল করে মিশিয়ে নিন।যখন দেখবেন যে একটা ঘন মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেছে তখন এর মধ্যে আগে থেকে কুরিয়ে রাখা গাজর ও কুচোনো আখরোট যোগ করে দিন।

স্টেপ ৪।স্প্যটুলা দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন এইমিশ্রন কে ও তারপর কিছুক্ষনের জন্য ঢাকা দিয়ে রেখে দিন।

স্টেপ ৫। একটা বড় সাইজ এর পাত্র নিয়ে নিন। এরপর কিছুটা মাখন নিয়ে পাত্রটির পুরো গায়েতে মাখিয়ে নিন।

স্টেপ ৬। কেক বেক করার জন্য একটা বড় সাইজ এর জায়গা নিয়ে তাতে ৪ কাপ মত জল দিয়ে দিন। এরপর একটা স্ট্যান্ড বসান যেটার ওপর  কেকের মিশ্রণের পাত্রটি বসতে  পারবে। এরপর গ্যাস কে জ্বেলে নিয়ে ৫-৬ মিনিটের জন্য জলতা গরম হতে দিন।

স্টেপ ৭। যখন দেখবেন যে জল থেকে ধোঁয়া  উঠতে শুরু করেছে তখন কেকের মিশ্রণের জায়গাটি স্ট্যান্ডের উপর আস্তে করে বসিয়ে দিন।

স্টেপ ৮। একটা বড় ঢাকনা নিয়ে বড় পাত্রটির মুখ ভাল করে ঢাকুন।  বাষ্প যদি ভিতর থেকে বেরোতে না তাহলে সেটা কেক বেক হবার জন্য ভাল।

স্টেপ ৯। অল্প আঁচে কেক কে বেক হতে দিন ও আপেক্ষা করুন মিনিট ৪০ এর মত।

স্টেপ ১০। ৪০-৪৫ মিনিট পর বড় পাত্রের ওপর থেকে ঢাকা খুলে নিয়ে একটা কাঠি নিয়ে কেকের মধ্যে গুঁজে দেখুন, যে কাঠির গায়ে কি কেক এর কিছুই অংশ লেগে আছে। যদি কোন কিছু লেগে না থাকে তাহলে আপনার কেক তৈরি হয়ে গেছে পরিবেশন করার জন্য।

আশা করি কিভাবে গাজরের কেক  তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে আমার এই রান্না করার পদ্ধতিটি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। আমার পাঠকদের কাছে রেসিপিটির প্রতিটি দিক সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করার জন্য সবসময়ই চেষ্টা করে থাকি। যাতে আপনি কি ভাবে রান্নাটি তৈরি করতে পারবেন সে বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য পেতে পারেন এবং আপনাকে অন্য কোথাও অনুসন্ধান করতে হবে না।

Leave a Comment