আমরা সবাই পোলাও খেতে ভীষণ ভালবাসি। যে কোন পুজতে ভোগ হিসাবে পোলাও দেওয়া হয়। তাই আজকে আমারা জেনে নেবো কিভাবে ছানার বড়া দিয়ে একটি দারুন সুস্বাদু পোলাও বানানো যায় কিছু ঘরোয়া উপকরন দিয়ে। আর সময় ও কম লাগে। তাহলে জেনে নিন কি ভাবে বানাতে পারবেন ছানা বড়ার পোলাও|
কি কি লাগবে ছানা বড়ার পোলাও বানানোর জন্য
- গোবিন্দ ভোগ চাল – দুই কাপ
- আদা কুচি – ২ চামচ
- কাজু বাদাম – ২০-২৫ টি
- কিসমিস – ৩০-৩৫ টি দানা
- গোটা গরম মসলা – দেড় চামচ
- পোলাও মসালা – হাফ চা চামচ
- আনার দানা – ১/৪ কাপ
- তেজপাতা – ৩টি
- ঘি – ৩ চামচ
- সাদা তেল – চার পাঁচ চামচ
- নুন – স্বাদ মতো
- চিনি – পরিমানমত
- জল ঝরানো ছানা – দেড় কাপ
কি ভাবে বানাবেন ছানা বড়ার পোলাও
স্টেপ ১। প্রথমে এক থেকে দুই বার জল দিয়ে গোবিন্দ ভোগ চালকে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য ৫ কাপ জলের মধ্যে ভিজিয়ে রেখে দিন।
স্টেপ ২। এর মধ্যে পরিমানমত চিনি ও নুন মিশিয়ে দিন ছানার মধ্যে। ভালো করে ছানাকে মেখে নিন যাতে ছানা বেশ মোলায়েম হয়ে ওঠে। গোল গোল করে বড়ার আকার করে নিন ছানাগুলোকে।
স্টেপ ৩। এরপর গ্যাসের ওপর একটি কড়াই বসিয়ে নিয়ে তাতে তেল দিয়ে গরম করে নিন। তেল গরম হয়ে উঠলে তাতে ছানার বড়াগুলো ছেড়ে দিয়ে ভেজে নিন। বড়া গুলো তুলে নিয়ে আলাদা বাটিতে রেখে দিন।
স্টেপ ৪। গোটা গরম মসলাকে নোরা দিয়ে পিষে থেঁতো করে নিন। থেঁতো করা গরম মসলা ও পোলাও মসালা এই একই তেলের মধ্যে দিয়ে দিন ও সাথে কিসমিস ও কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিয়ে হাতা দিয়ে নেড়েচেরে নিন সামান্য।
স্টেপ ৫। চালের থেকে ছাঁকনি দিয়ে ভালো করে জল ঝরিয়ে ফেলুন। এই চালের সাথে কুচোনো আদা মিশিয়ে ভেজে নিন ভালো করে।
স্টেপ ৬। এরপর চালকে অর্ধেক সেদ্ধ করে নিতে হবে, এইজন্য আগের সেই জল যার মধ্যে চালকে ভিজিয়ে রেখেছিলেন সেটা ৪ কাপ নিয়ে তার মধ্যে চাল আদা যেটা ভেজে ছিলেন সেটা দিয়ে দিন।
স্টেপ ৭। যখন দেখবেন যে অর্ধেক সেদ্ধ হয়ে গেছে চাল তখন এরমধ্যে ছানার বড়া, পরিমানমত চিনি ও পরিমানমত নুন দিয়ে কিছক্ষনের জন্য ফুটিয়ে নিন। ফোটানোর পর জল শুকিয়ে আসলে এর মধ্যে ঘি দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন।
স্টেপ ৮। খানিকক্ষণ পরে নামিয়ে ফেলুন রান্নাকে ও এর মধ্যে আনার দানা ছড়িয়ে দিয়ে মিশিয়ে নিন।
স্টেপ ৯। ব্যাস ছানা বড়ার পোলাও তৈরি। অথিতিদের গরম গরম খেতে দিন ও সাথে রেখে দিন শসা ও পেঁয়াজের সালাদ।
পরামর্শ
গোবিন্দ ভোগ চাল যে জলের মধ্যে ভিজিয়ে রেখে দেবেন সেই জল ফেলে দেবেন না কারন সেই জলের মধ্যে গোবিন্দ ভোগ চালের একটা দারুন সুবাস থাকে। এই জল যদি কোন ডাল বা তরকারি রান্না করার সময় বা পোলাও তৈরি করার সময় দেন তাহলে জলের সেই সুবাস রান্নার স্বাদ আরও বাড়িয়ে দেবে।