আলুর শিঙাড়া বা চাউমিন শিঙাড়া আমরা প্রায় বিকেলের টিফিন এ খেয়ে থাকি। এককথায় খেতে যেরকম সুস্বাদু সেই রকম পেট ভরিয়ে রাখে চট জোরে খিদে পায়না। তাই বিকেল হলেই অনেকের মনে শিঙাড়া খাবার ইচ্ছে জেগে ওঠে। তবে রোজ বাইরে শিঙাড়া বা অন্য কোন ভাজাভুজি আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সে জন্য বাড়িতে সেই সব ভাজাভুজি তৈরি করে খাওয়া ভালো। অনেকে ভাবেন যে বাড়িতে তৈরি করলে শিঙাড়া সেই রকম টেস্টই বা সুস্বাদু মুখরোচক হবে না। কিন্তু এটা ভাবা ভুল। যদি ঠিক ঠাক উপকরন মিশিয়ে বানানো যায় তাহলে সেই শিঙাড়ার স্বাদের হাতছানি থেকে কেউ পালাতে পারবে না। ছোট থেকে বড় সবাইয়ের খুব প্রিয় হয়ে উঠবে আপনার হাতের বাড়িতে বানানো শিঙাড়া। তবে আজকে আমি আলুর শিঙাড়া বা চাউমিন শিঙাড়া আপনাদের কে শেখাব না। বরং আজকে আপানাদের শেখাব শিঙাড়া যেটা তৈরি হবে পিৎজার সমস্ত উপকরন দিয়ে। আহামরি কিছু লাগবে না, আমাদের ঘরেই মজুত থাকে বা বাজারে সহজেই পেয়ে যাবেন। তাহলে জেনে নিন কি ভাবে বানাবেন কম সময়ের মধ্যে পিৎজা শিঙাড়া।
কি কি লাগবে পিৎজা শিঙাড়া বানাবার জন্য
- ময়দা – ১ কাপ
- কুচোনো মোজারেলা চিজ – ১ কাপ
- কাটা ক্যাপসিকাম (মাঝারি সাইজ) – ১ টি
- পিজ্জা সস – ১ চামচ
- তেল – ৪ চামচ
- কুচোনো পেঁয়াজ – ৩ টি ছোট সাইজএর বা ২ টি মাঝারি সাইজ
কিভাবে বানাতে পারবেন পিৎজা সিঙ্গারা
স্টেপ ১। একটি বাটিতে ময়দা দিয়ে দিন ও সাথে তেল নুন ও পরিমানমত জল দিয়ে ময়দা কে মেখে নিন। এরপর ময়দার ওপর ঢেকে দিন নরম একটি সুতির কাপড় দিয়ে।
স্টেপ ২। এরপর গ্যাসের ওপর নন-স্টিক প্যান বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে দিন ও একটু গরম করে নিন। গরম তেলের মধ্যে কুচোনো পেঁয়াজগুলো দিয়ে ভেজে ফেলুন। এরপর এরমধ্যে এক এক করে কাটা ক্যাপসিকাম, চিজ, পিজা সস ও নুন দিয়ে ভেজে ফেলুন ভালো করে।
স্টেপ ৩। পুর বা মিশ্রন তৈরি হয়ে গেলে ময়দা বেলে নিয়ে রুটি বানিয়ে নিন। এরপর রুটির মাঝে তৈরি করা পুরটা দিয়ে ছড়িয়ে দিন। পুর দেওয়ার পর রুটির চারিদিক জল দিয়ে রুটির মুখগুলো বন্ধ করে দিন। যে রকম দোকানে শিঙাড়ার মুখ বন্ধ থাকে।
স্টেপ ৪। ভাজার জন্য তেল প্যানের মধ্যে দিয়ে তেলকে গরম করে নিয়ে শিঙাড়াগুলো দিয়ে ভেজে ফেলুন। যখন দেখবেন ভাজতে ভাজতে হালকা সোনালি হয়ে গেছে শিঙাড়া তখন সবাইকে পরিবেশন করুন। সাথে রাখুন সস ও পেঁয়াজ।