১৫টি নতুন কিচেন টিপস জেনে আপনি নিশ্চয় বলবেন যে অনেক আগেই কেন এই টিপসগুলোর খবর পেলেন না

একটি শিল্প হিসাবে রান্নাকে ধরা হয়। কিন্তু এই রান্না করতে গিয়েই অনেক সময় গণ্ডগোল হয়ে যায়। একটু ভুলবশতও ভাবে রান্না করলে বা একটু সতর্ক হয়ে রান্না না করলে অনেক সময় আমরা শাকসবজি কে পুড়িয়ে ফেলি বা বেশি পরিমানে নুন দিয়ে ফেলি তার ফলে পুরো রান্নাটাই ঘেঁটে ঘ হয়ে যায়। খাদ্য উপাদানগুলোর অনেক সময় ক্ষতিও হয়ে যায় আমাদের কাছে ঠিকঠাক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে না থাকার ফলে। অজান্তে যদি ঐ উপাদান গুলো দিয়ে রান্না করেন তাহলে খাদ্যর পুষ্টিগুণ সেভাবে আর কিছু শরীর পায় না ও শরীর খারাপ হবার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই কম সময়ে সুস্বাদু খাবার যদি আপনি তৈরি করতে চান তাহলে নিচে দেওয়া এই ছোট ছোট টিপসগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে রান্না করার সময়। তাই নিচে দেওয়া হল এই ১৫ টি টিপস যেটা রান্না করার সময় বা রান্না করার আগে উপাদানগুলো ঠিক ঠাক রাখার ক্ষেত্রে কাজে আস্তে পারে।

টিপস ১। তরল ঘন গুড়ের লিকুইড বানানোর সময় গুড়ের শক্ত ডেলা কে প্যান এ জলের মধ্যে দেবার আগে ঘি বা তেল লাগিয়ে দিন প্যানের মধ্যে এরফলে তরল ঘন গুড়ের লিকুইড লেগে থাবে না প্যানের গায়ে।

টিপস ২। ১ চামচ চিনি যদি দুধের ক্রিমে দিয়ে চামচ বা হাতা দিয়ে ফেটিয়ে নেন তাহলে প্রচুর পরিমাণে মাখন তৈরি হয়ে বের হয় ক্রিম থেকে।

টিপস ৩। সামান্য পনির বা ছানা, মাওয়া বা খোয়ার সাথে মিশিয়ে দিন এরফলে গোলাপজাম নরম, রসালো, সুস্বাদু হয়ে উঠবে ভেতর থেকে।

টিপস ৪। রসগোল্লা তৈরি করার সময় চিনির সিরাপে যখন রসগোল্লা ফুলেফেঁপে উঠবে তখন এরমধ্যে জল দিয়ে দিন ১-২ চামচ। এরফলে চিনির সিরাপ আর বেশি ঘন হয়ে যাবে না ও রসগোল্লা বেশ নরম ও স্পঞ্জি তৈরি হবে।

টিপস ৫। দই যদি আপনি সেট না করতে পারেন তাহলে কিছুটা জল একটি সমতল থালায় মধ্যে দিয়ে তার ওপরে দই এর জায়গাটি রাখুন। ঘণ্টা খানেক পরে দেখবেন যে দই সেট হয়ে হয়ে গেছে। তবে এই ১ঘণ্টার মধ্যে জায়গাটি যেন কোনভাবে নড়াচড়া না করে সেটা লক্ষ্য রেখে দেবেন।

টিপস ৬। যদি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চান আমের আচার কে তাহলে এটিকে সূর্যের আলোর সংস্পর্শে রেখে দিন তারপর শুকনো জায়গায় আচারকে রেখে দিন। যখনি আচার খাবার ইচ্ছে হবে আপনার সেই সময় পরিষ্কার ও শুকনো চামচ দিয়ে খাবার মত আচার কে আলাদা বের করে রাখুন। তবে আচারকে কোনভাবে বেশিবার স্পর্শ একদম করবেন না। এই নিয়ম মানলে অনেকদিন অব্দি আচার ভাল থাকবে।

টিপস ৭। কিছু পরিমানে গুড় দিয়ে আমের আচার এর মধ্যে মিশিয়ে নিন। এরফলে আরও সুস্বাদু হয়ে উঠবে আচার।

টিপস ৮। যদি কোন খাবার বেকিং করবেন তাহলে প্রথমে প্রিহিট করুন কিছুক্ষনের জন্য ওভেনটিকে তারপর থালা টি ওভেনএর মধ্যে দিন।

টিপস ৯। যদি একসাথে যুক্ত থাকা কলার কাদিকে একটা তারের মধ্যে ঝুলিয়ে রেখে দেন তাহলে কলা নষ্ট হবে না ও ভাল থাকবে ৫ থেকে ৬ দিন অব্দি।

টিপস ১০। যদি আরও ক্রিম পেতে চান দুধ থেকে তাহলে ভালোভাবে ফুটিয়ে নেবার পর দুধকে নিমাইয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা করে নিয়ে ফ্রিজে রাখুন। এর ফলে বেশি পরিমাণে ঘন ক্রিম পাবেন দুধ থেকে।

টিপস ১১। যদি একটা বাজে গন্ধ বেরোয় ফ্রিজ থেকে তাহলে ফ্রিজেতে কিছুটা কাঠকয়লা রাখুন। ফ্রিজের গন্ধ ভানিশ হয়ে যাবে।

টিপস ১২। ডালপালা গুলো ভেঙ্গে ফেলে দিয়ে সবুজ মরিচ কে ফ্রিজে রেখে দিন এরফলে অনেকক্ষনবের জন্য তাজা থাকবে সবুজ মরিচ।

টিপস ১৩।এক চিমটি চিনি যদি পেঁয়াজ যখন ভাজবেন তখন দিয়ে দেন তাহলে পেঁয়াজ খুব তাড়াতাড়ি মুছমুছে হয়ে যাবে।

টিপস ১৪। দুধের জল ফেলে দেবেন না দুধ থেকে দই তৈরি হয়ে যাবার পর, কারন আপনি এই জল ময়দার মধ্যে দিয়ে মেখে নিয়ে মণ্ড তৈরি করতে পারেন এতে মণ্ডর মধ্যে একটি নরম নরম ভাব থাকে।

টিপস ১৫।সামান্য সুজি উরদ ডালে যোগ করে দিয়ে বেশ করে ফেটিয়ে নিন দই বড়া বানানোর সময়। এর ফলে আরও নরম হয়ে যাবে দই বড়া।

Leave a Comment