বাঙালি খাদ্য তালিকাই পোস্তর নামটা বেশ অপরের দিকেই থাকে। বাঙালির কাছে পোস্ত হল এক ভালবাসার পদ। শুধু পোস্তর স্বাদ ও গন্ধেতেই এক থালা ভাত খাওয়া হয়ে যায় সাথে ডাল বা তরকারি থাকুক বা না থাকুক। পোস্ত দিয়ে হরেক রকমের পদ আছে যেমন পোস্ত ঝিঙে, পোস্ত আলু, পটল পোস্ত। পোস্তর মধ্যে যে সবজি দেয়া হোক না কেন, সেই সবজি যদিও বা প্রিয় না হয় পোস্তর গুনে সেটাও তখন প্রিয় হয়ে ওঠে। এই তিন রকম পোস্ত ছাড়াও বেগুণ দিয়েও একটা দারুন পোস্ত পদ বানানো যায় খুব সহজে, কম সময়ে, উপকরন আহামরিও কিছু লাগে না। বাড়ির কছি কাঁচা হোক বা বয়স্ক কেও হোক এর স্বাদ সবায়ের মুখে লেগে থাকবেই। তাহলে এখনই বানাবার সহজ উপায় টা জেনে নিন।
কি কি লাগবে পদটি তৈরি করতেঃ
পোস্ত বাটা- ১০ চামচ
বেগুন – ১ টি
কালো সর্ষে: ১/২ চামচ
আদা বাটা – ৩/৪ চামচ
টম্যাটো: ১টি
কাঁচা লঙ্কা: ৩টি
গুঁড়ো হলুদ : 1/2 চামচ
নুন – আন্দাজ মত
তেল – পরিমাণ মতো
কি পদ্ধতিতে পদটি বানাবেনঃ
স্টেপ ১।বেগুনগুলো কে ৪ টে টুকরো করে কেটে নিন। পিসগুলোতে হলুদ-নুন মাখিয়ে নিয়ে।
স্টেপ ২। এবার একটা কড়াই এ তেল দিন আন্দাজ মত। বেগুনগুলো ভাল করে উলটেপালটে ভেজে নিন।
স্টেপ ৩।ভাজা হয়ে গেলে বেগুনগুলোকে তুলে নিন ও তেলের মধ্যেই সর্ষে ফোড়ন ১/২ চামচ দিয়ে দিন।
স্টেপ ৪। টম্যাটো ও আদা বাটা ওই তেলের মধ্যে দিয়ে নেড়ে নেড়ে ভাল করে কষান।
স্টেপ ৫।কিছুক্ষন পর যখন মিশ্রন টা একটু কষা কষা হয়ে যাবে তখন তার মধ্যে আগে থেকে বেটে রাখা পোস্ত ছড়িয়ে দিন।
স্টেপ ৬। হাতা দিয়ে ভাল করে নাড়ান।
স্টেপ ৭। যে বেগুন গুলো কড়াই থেকে তুলে নিয়েছিলেন সেই বেগুন ভাজাগুলি কড়াইতে দিয়ে নাড়াতে নাড়াতে থাকুন।
স্টেপ ৮। কিছুক্ষনের জন্য নাড়ানোর পর যখন রান্না কষে যাবে থকন বেগুনগুলো কে উল্টোপিঠ করে দিন ও জল ঢেলে দিন প্রয়োজনমত। যতটা নুন দরকার ততটা নুন ছড়িয়ে দিন ও সাথে লঙ্কা যোগ করে দিন।
স্টেপ ৯। যখন দেখবেন বেগুন সেদ্ধ হয়ে এসেছে তখন ওপর থেকে কাঁচা তেল ছড়িয়ে দিন রান্নার ওপর ও রান্নাটা নামিয়ে নিন।
স্টেপ ১০। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন সুস্বাদু বেগুন পোস্ত আর খাওয়াটা জমিয়ে দিন।