বেগুনের ভাজা, ভর্তা খেয়ে খেয়ে মুখ মেরেছে? তাহলে মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে খান সর্ষে বেগুন

সাধারনত বাঙালি বাড়িতে বেগুন দিয়ে হয় ভর্তা বা ভাজা আর নয়ত বড়জোর বেগুনীই হয়ে থাকে। এ ছাড়া আর তেমন কিছুই বাঙালির করার কথা ভাবে না বেগুন দিয়ে! সেই কারনেই আজ আপনাদের জন্য বেগুনের দারুন একটা মুখরোচক একটি পদ আমরা নিয়ে এসেছি। সেই পদ তার নাম হল সর্ষে বেগুন। যদি পাতে গরম গরম ভাত বা রুটির সাথে পরে সর্ষে বেগুন তাহলে যে জমবে দুপুর বা রাতের ভুরিভোজ সেটা যারা ভোজন রসিক তাদের কাছে খুব একটা অজানা নয়। তাহলে এবার জেনে নিন কি উপায়ে তাড়াতাড়ি করে ফেলতে পারবেন সর্ষে বেগুনের এই দারুন রান্না –

কি কি লাগবে সর্ষে বেগুন তৈরি করতে

  • বেগুন – ৪টি মাঝারি সাইজের
  • পোস্ত বাটা – ৬ চামচ
  • সর্ষে বাটা – ২+১/২ চামচ
  • নুন ও চিনি  –  স্বাদ অনুযায়ী
  • হলুদ গুঁড়ো – ১/২ চামচ
  • তেল – পরিমাণ মতও (ভাজার জন্য)

কি ভাবে বানাবেন সর্ষে বেগুন

স্টেপ ১)  প্রথমে  ৪ টি বেগুন কে মাঝ বরাবর লম্বা লম্বা দু ফালি করে কাটুন ও এরপর জলে ২-৩ বাড় ধুয়ে নিন। বেগুনের বতা গুলো কিন্তু কেটে বাদ দিয়ে দেবেন না, অবশ্যই বোটা গুলো রেখে দেবেন।

স্টেপ ২) এরপর ৪ টি বেগুনের উভয়দিকে ভালকরে নুন ও হলুদ মাখিয়ে ২-৩ মিনিট রেখে দিন। এরপর একটা নন স্টিক প্যান নিয়ে তাতে তেল দিন। তেল গরম হয়ে গেলে বেগুন গুলো তার মধ্যে দিয়ে হাল্কা ভেজে তুলে নিন।

স্টেপ ৩) এবার তেল না পাল্টে ওই একই তেলের মধ্যে হলুদ গুঁড়ো ও চিনি এক এক করে যোগ করুন।

স্টেপ ৪) যখন দেখবেন যে চিনি গলে এসেছে থকন তার মধ্যে আগে থেকে বেটে রাখা সর্ষে ও বেটে রাখা পোস্ত দিয়ে দিন। সাথে নুন যোগ করে দিন। মশলাটা কষাতে থাকুন। জল যদি শুখিয়ে আসে তাহলে পরিমান্মত জল তার মধ্যে দিয়ে আবার মশলাটা ভাল করে কষান।

স্টেপ ৫) মসালা যদি কষানো হয়ে যায় তাহলে তার মধ্যে আবার কিছু পরিমাণ জল দিয়ে দিন।

স্টেপ ৬) যখন মশলা ফুটতে শুরু করবে তখন ভাজা বেগুনগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিন।

স্টেপ ৭) খানিকক্ষণ রান্না হবার পর বেগুনগুলো অন্য দিকে উল্টে দিন। তারপর আরও একটু ফুটিয়ে নিন।

স্টেপ ৮) মাখা মাখা হয়ে গেলে রান্নাটি নামিয়ে উপর থেকে সামান্য ধনেপাতা কুচি গোল করে চারিদিকে ছড়িয়ে দিন।

স্টেপ ৯) এ বার গরম গরম ভাতের সঙ্গে খেতে দিন সুস্বাদু ও লোভনীয় জিভে জল নিয়ে আসা সর্ষে বেগুন।

Leave a Comment