যদি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে এই পদ্ধতিতে ডায়েট অনুসরন করুন ডায়াবেটিস যাবে দূরে

মানুষ প্রায়ই খাবার নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পরে তাদের ডায়াবেটিস হলে ।কোন খাবার গ্রহণ করা উচিত ডায়াবেটিস হলে যা উপকারী? ডায়াবেটিসের জন্য সেরা খাবার কি কি? প্রায়শই মানুষকে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দেখা যায়। আজ আমরা আপনাদের বলব ডায়াবেটিসে কি কি খাবার গ্রহণ করা উচিত যাতে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

উচ্চ আঁশযুক্ত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়েটারি ফাইবার সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আমাদের যদি চিনি বা ডায়াবেটিস থাকে তবে আমাদের উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত। আমাদের কম চর্বি, কম কোলেস্টেরল এবং কম চিনি ও লবণযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। ডায়াবেটিসে সময়মতো খাবার খান। খাবার খেতে দেরি করবেন না। অতিরিক্ত খাওয়া এবং গভীর রাতে খাবেন না।দিনের বেলা ঘুমানো ছাড়তে হবে যদি ডায়াবেটিস ধরা পরে । অ্যালকোহল পান এবং ধূমপান এড়ানো উচিত। এগুলো থেকে চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গোটা ফল খান

বেশি মিষ্টি জাতিও ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কিন্তু চিনির ক্ষেত্রে, একবারে শুধুমাত্র এক ধরনের ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডায়াবেটিসে আমরা কমলা, বেরি, আপেল, আঙ্গুর খেতে পারি। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শে ফল খাওয়া যেতে পারে। কম সুগার লেভেল সহ ফল খেতে হবে। ডাক্তারদের মতে, বেরি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে।  হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় আপেল। আঙ্গুর ইনসুলিন প্রতিক্রিয়া উন্নত করে। এ ছাড়া এই সব ফল রক্তে গ্লকোজ কমাতে সাহায্য করে।

 সুষম খাদ্য হিসাবে শাকসবজিকে রাখুন

ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, সবজি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভেবে খাওয়া উচিত। ব্রকলি, গাজর, পালংশাক, টমেটো, মসুর ডাল, কিডনি বিন এবং ছোলা ইত্যাদি খাবারে গ্রহণ করা যেতে পারে। ব্রকলিতে থাকে সালফোরাফেন নামে এক ধরনের উপকারি উপাদান। গাজরের মধ্যে থাকা লুটেইন ও বিটা ক্যারোটিন হজমের জন্য খুবই সাহায্য করে।  লাইকোপিন, ভিটামিন-সি, বিটা ক্যারোটিন, ফ্ল্যাভোনয়েড, পটাশিয়াম নানারকম উপকারী উপদান পাওয়া যায় টমেটোর মধ্যে। আর এতে রয়েছে ভিটামিন-ই-এর মতো অনেক পুষ্টি উপাদান, যা ডায়াবেটিস ভালো করতে পারে।

এই খাবারগুলো ডায়েটে রাখতে পারেন যেগুলো উপকারী

  • বাদাম
  • আখরোট
  • পেস্তা
  • মাছ
  • ডিম

যে সব খাবারকে খাদ্য তালিকাতে থেকে বাদ দেবেন সেগুলো হল

  • বেশি মিষ্টি ফল
  • চর্বিযুক্ত খাবার
  • উচ্চ শর্করা এবং ভাজা জিনিস এড়িয়ে চলুন
  • জাঙ্ক ফুড খাওয়া উচিত নয়
  • নতুন ধান, নতুন গম,
  • কালো ছোলা
  • আলু, সয়াবিন, ময়দা
  • ঘি, গুড়, চিনি, রিফাইন্দ
  • দুধ, দেশি ঘি, দই ও বাটার মিল্ক (ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সেই অনুযায়ী এই খাবার গুলো খেতে পারেন)

Leave a Comment