আর বাইরের পিৎজা নয়, এবার ঘরেই বানান সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর পিৎজা

সুদুর ইটালি থেকে আগমন হয়েছিল এদেশে। কিন্তু এখানে এসেছে সে পাকাপাকিভাবে এদেশের মানুষের মনে জায়গা করে নেবে সেটা হয়তো ভাবতে পারেনি এর সৃষ্টিকর্তা সেই আইটেম টার নাম হলো পিৎজা। জন্মদিনের পার্টি থেকে হোক বা বন্ধু-বান্ধবদের আড্ডা মধ্যেমনি হয় হিসেবে গুরুত্ব পায় এই পিৎজা। কেক, পেস্ত্রির সাথে কিন্তু সমান ভাবে গুরুত্ব পায় এই ইতালিয়ান স্নাচক হার্টথ্রব। অনেকেই মনে করেন পিৎজা বানানো পরিশ্রমসাধ্য। কিন্তু তা একেবারেই নয়। শুধুমাত্র কয়েকটি উপকরন আর একটু সময় দিলেই বাড়িতে খুব সহজে বানিয়ে ফেলতে পারেন সুস্বাদু পিৎজা। আপনার বাচ্চা অন্য বায়না ছেঁড়ে পিৎজাটে মজবে।

পিৎজা মণ্ড বানানোর জন্য যে জিনিস গুলো দরকার
ময়দা বা আটা – 5 থেকে 7 কাপ
রিফাইন্দ তেল – সাত চা চামচ
বেকিং পাউডার – দুই চামচ
নুন – 1 থেকে 2 চামচ
চিনি – ৪ চা চামচ
টক দই – 1 কাপ
ইস্ট – 1 চা চামচ
গোলমরিচ – ১ চা চামচ
জল – ৩-৪ চামচ

পিৎজার ওপরে ছড়াবার জন্য যা যা লাগবে
কুচোনো পিঁয়াজ – তিন থেকে চার চামচ
কুচোনো কাপসিকাম – ১/২
টমেটো কুচি – ১/২ টমেটো
পিৎজা সস – 2 চামচ
মোজারেলা চিজ – ৪ – ৫ চামচ
তেল – 4 চা চামচ

এবার কিভাবে বানাবেন

একটা বড় মাপের জায়গা নিন তার মধ্যে প্রথমে বেকিং পাউডার চিনি নুন সঙ্গে যোগ করুন ভালো মতো মিশিয়ে সেটাকে ফেটিয়ে নিন।

যখন দেখবেন একটু ঘন হয়ে এসেছে তখন তার মধ্যে উপর থেকে ময়দা ঢালুন তারপর এরমধ্যে পরিমাণমতো জল দিয়ে ভালো করে মাখতে থাকুন।

যখন দেখবেন ময়দা বেশ খানিকটা শক্ত হয়ে এসেছে তখন চারপাশে তেল মাখিয়ে একটুখানি মেখে 30 মিনিটের জন্য রেখে দিন।

30 মিনিট পর খুব ভালোমতো চিপে চিপে মাখুন কারণ হচ্ছে যাতে ময়দাটা খুব নরম হয়ে আসে । এ বার একটু ময়দা ছড়িয়ে পিৎজার আকারে বেলে নিন।

ভাল করে ময়দাটা মাখা হয়ে গেলে হয়ে গেলে সেটা তাওয়ার ওপর বসিয়ে দিন মাঝের অংশটা হাত দিয়ে ভালো করে চেপে দিন কারন রুটির চারিদিকটা মাঝখানের তুলনাই একটু ফুলে থাকবে।

এবার পেঁয়াজ ক্যাপসিকাম টমেটো কারি চিলি ফ্লেক্স, পিৎজা সস, চিজ সবকটা উপকরণকে এক এক করে রুটির ওপরে গোল গোল করে ছড়িয়ে দিন।

এবারটা ব্রাশ দিয়ে রুটি চারদিকে গোল গোল করে রিফাইন তেল মাখিয়ে দিন ও তারপরে ওপর থেকে একটা ঢাকা দিয়ে গ্যাসের উপরে চড়ান দেখবেন বেশ কিছুক্ষণ পর দেখবেন বেশ কিছুক্ষণ পর চিজ গলে নরম হয়ে গেছে তারপর আপনি ঢাকাটা তুলে নিন ও পিৎজা নামিয়ে গরম গরম খেতে দিন।

Leave a Comment