সাধারণত চানা মশলাই অর্ডার করে থাকি রুমালি রুটি বা তন্দুরি এর সাথে যখন আমরা রেস্তোরাঁ বা ধাবাতে যাই। অত্যন্ত পছন্দের একটি খাবার বাঙালিদের কাছে যারা বেশ খাদ্যরসিক। এই অমৃতসরি ছোলে যেটা আমরা চানা মসলা হিসাবে জানি সেটা যদি পাঞ্জাবি স্টাইল এ তৈরি হয় তাহলে টো সোনায় সোহাগা। তাহলে জেনে নিন কিভাবে
কি কি লাগবে অমৃতসরি ছোলে রেসিপি বানাতে
- কাবুলি ছোলা – ২ কাপ
- জিরে গুঁড়ো – ১ চামচ
- দারচিনি – ১-২ টুকরো
- এলাচ – ৫-৬টি
- ঘি – পরিমাণমতো
- তেজপাতা – ১টি
- কুচোনো টম্যাটো – ১ বাটি
- আদা থেঁতো – ১ চামচ
- চেরা কাঁচালঙ্কা – ২-৩টি
- লবঙ্গ – ৩-৪টি
- শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো-১ চামচ
- আমচুর গুঁড়ো – ১ চামচ
- কুচোনো পেঁয়াজ – ১ বাটি
- ধনে গুঁড়ো – ১ চামচ
- গরমমশলা গুঁড়ো – ১/২ চামচ
- কুচোনো ধনেপাতা – সামান্য
- নুন – স্বাদমতো
কি ভাবে বানাবেন অমৃতসরি ছোলে রেসিপি
স্টেপ ১। সারারাত ভিজিয়ে রেখে দিন কাবুলি ছোলা।
স্টেপ ২। গ্যাসের ওপরে প্রেশার কুকার বসিয়ে তাঁরা মধ্যে ভেজানো ছোলা দিয়ে দিন ও তার সাথে এলাচ,লবঙ্গ, দারুচিনি, তেজপাতা যোগ করে দিন রান্নার করার সময়ে।
স্টেপ ৩। সিদ্ধ করে নিন বেশ ভালো করে সমস্ত উপকরনকে।
স্টেপ ৪। গ্যাসের ওপর কড়াই বসিয়ে অল্প পরিমানে ঘি দিয়ে বসান। যখন দেখবেন যে ঘি গলে গেছে তখন তার মধ্যে চেরা কাঁচালঙ্কা ও থেঁতো করা আদা দিয়ে দিন ও হাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এর পর ওর মধ্যে কুঁচি করে কাটা পেঁয়াজ দিয়ে দিন৷
স্টেপ ৫। কিছুক্ষন পর অল্প পরিমান নুন দিয়ে দিন ও ৭-৮ মিনিট ধরে ভাজতে থাকুন কুচোনো পেঁয়াজকে। পেঁয়াজ হালকা বাদামি রঙের হয়ে গেলে এরপর জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো দিয়ে দিন ও হাতা দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কুচোনো টম্যাটো গুলো দিয়ে দিন।
স্টেপ ৬। যখন নরম হয়ে যাবে টম্যাটোটুকরোগুলো তখন আমচুর গুঁড়ো, গরমমশলা গুঁড়ো,শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো একে একে দিয়ে দিন ও সামান্যপরিমানে জল ঢেলে দিন।
স্টেপ ৭। কিছু মিনিট পরে সিদ্ধ করে রাখা ছোলা কে কড়াইয়ে দিয়ে দিন ও হাতা দিয়ে নেড়েচেরে আরও কিছুটা পরিমান জল দিয়ে দিন।
স্টেপ ৮। নেড়েচেরে নিন ভালো করে এরপর সামান্য পরিমান আমচুর গুঁড়ো কড়াই এ দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন ৫ মিনিট এর জন্য।
স্টেপ ৯। ব্যাস তৈরি অমৃতসরি ছোলে মিনিট ৫ পরে ঢাকনা সরিয়ে নামিয়ে নিন অমৃতসরি ছোলে। কুঁচিয়ে রাখা ধনেপাতা অমৃতসরি ছোলের ওপরে ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।