বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন কিংবা উৎসব উদ্যাপন— বাঙালির মাছের কোন না কোন পদ না হলে চলে না। সে ভাতের সাথে ঝাল বা ঝোল হোক কিংবা মাছ দিয়ে কোন মুখরোচক নাস্তা। মাছ দিয়ে বেশি ভাজা জাতীয় সবসময় খেতে স্বাস্থ্যকর নয় ঠিকই, কিন্তু বিকেলের মুখরচক যদি মাছ দিয়ে কোন আইটেম পাওয়া যায় তাহলে তো দারুন ব্যপার। এটি ‘অমৃতসারী ফিশ ফ্রাই’ এর কাছাকাছি কিন্তু খুব বেশি মশলা ব্যবহার করা হইনি, সেজন্য সেগুলি শুধু ‘মাছ পাকোড়া’। আপনি এটি লঙ্কা সস, চাটনি, কোক এর সাথে উপভোগ করতে পারেন।প্রতিবার খেতে দারুন লাগবে। এই ফিশ পাকোড়া প্রস্তুত করতে, রান্না করতে খুব কম সময় নেয়। এই সহজ রেসিপিটি করে দেখুন এবং আপনার পরিবারের সাথে উপভোগ করুন। রইল সহজ প্রণালী।
কি কি লাগবে ফিশ পাকোড়া তৈরি করতে
ভেটকি / তেলাপিয়া – 15-20 টি আকারের কাটা ছাড়ানো মাছের টুকরো
ডিম – 1টি
কর্নফ্লাওয়ার – ১/৪ কাপ।
কালো গুঁড়ো গোলমরিচ – ১+১/২ চামচ।
লাল লঙ্কা গুঁড়ো – ১ চা চামচ
নুন – পরিমাণমত
লেবুর রস – ২ চামচ।
আদা ও রসুন বাটা – ১ চামচ।
সরষের তেল বা সাদা তেল – প্রয়োজনমত
চালের আটা – ১/৪ কাপ।
চাট মসলা(গারনিশিং) – প্রয়োজনমত
কি ভাবে তৈরি করতে হবে ফিশ পাকোড়া
স্টেপ ১ । একটি পাত্রে মাছের টুকরোগুলোকে নিয়ে রাখুন।
স্টেপ ২ । মাছের ওপর নুন, গুঁড়ো করা কালো মরিচ ও গুঁড়ো করা লাল মরিচ ছড়িয়ে দিন।
স্টেপ ৩ । তারপর মাছের মধ্যে আদা ও রসুন বাটার মিশ্রন্ টা ও লেবুর রস দিয়ে দিন। ভাল করে মিশিয়ে নিন।
স্টেপ ৪। এরপর এর মধ্যে এক এক করে ডিম, কর্নফ্লাওয়ার, চালের আটা দিয়ে দিন। এই সমস্ত জিনিস গুলো মাছের সাথে খুব ভালো করে মেখে নিন ও ১৫ মিনিট রেখে অপেক্ষা করুন।
স্টেপ ৫। এরপর গ্যাস এর ওপর কড়াই বসান ও তেল দিন। তেলকে গরম করুন। মাছের ব্যাটারের মধ্যে কয়েক চামচ গরম তেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
স্টেপ ৬। গরম তেলে এক এক করে ব্যাটার করা মাছের টুকরোগুলো ছাড়ুন ও ৫ মিনিট করে ভাজুন।
স্টেপ ৭। তারপরে মাছ ভাজা হয়ে গেলে এগুলিকে তেল থেকে তুলে নিন ও কাগজের টিস্যুতে রেখে দিন যাতে এই পাকোড়া গুলি থেকে অতিরিক্ত তেল বেরিয়ে যায়।
স্টেপ ৮।ওপর থেকে সামান্য পরিমাণ চাট মসলা ছড়িয়ে দিন পাকোড়াগুলির ওপর।
স্টেপ ৯। বন্ধু বান্ধব বা বাড়ির প্রিয়জনেদের সালাদ ও টোম্যাটো সস সহযোগে গরম গরম পরিবেশন করুন ফিশ পাকোড়া।