করলার সবজির গুণাগুণ রয়েছে। করলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব ভালো সবজি, তবুও বেশিরভাগ মানুষ করলা থেকে দূরত্ব বজায় রাখে। আসলে করলার তেতো স্বাদ অনেকেই পছন্দ করেন না। শিশুরা করলা খাওয়া এড়িয়ে চলে। তবে, যদি করলা সিখ কাবাব পরিবেশন করা হয়, তবে যারা করলা অপছন্দ করেন তারাও এই রেসিপিটি আস্বাদন করে খান। করলা কাবাব দুপুরের বা রাতের খাবারের সাথে পরিবেশন করা যেতে পারে।
করলা সিক কাবাব তৈরি করার জন্য করলার তিক্ততা অনেক উপায়ে কমানো যায়। এটি একটি সুস্বাদু পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার, যা তৈরি করা খুব একটা কঠিন নয়। আপনি যদি একটি নতুন রেসিপি খুঁজছেন, তাহলে আপনি অবশ্যই একবার করেলা সিক কাবাব ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
কি কি লাগবে করলার শিক কাবাব বানাতে
করলা – 2-3টি
পালং শাক – 200 গ্রাম
আলু গ্রেট করা – 3-4টি
খোয়া (মাওয়া)- ১ কাপ
বেসন- ১ কাপ
জিরা – 1 চা চামচ
রসুন গ্রেট করা – 2 টেবিল চামচ
বাদাম – 9-10
ভুট্টা – 100 গ্রাম
দেশি ঘি – ২ টেবিল চামচ
কালো মরিচ গ্রাউন্ড – 1 চা চামচ
সবুজ মটরশুটি – 200 গ্রাম
লবণ – স্বাদ অনুযায়ী
কি ভাবে বানাবেন করলার শিক কাবাব
করলা সিক কাবাব তৈরি করতে প্রথমে একটি প্যানে ঘি দিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করুন। ঘি গলে গেলে তাতে জিরা দিন। জিরা কষা শুরু হলে, সূক্ষ্ম কাটা রসুন, আদা যোগ করুন এবং সোনালি বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
এরপর এতে মটরশুঁটি, কুচি করা আলু, করলা, কালো গোলমরিচের গুঁড়া এবং স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিয়ে সব মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি কয়েক মিনিট ভাজুন।
এরপর এই মিশ্রণে বাদাম, খোয়া ও ভুট্টা দিন।
এদিকে অন্য একটি প্যানে বেসন দিয়ে ভেজে নিন। বেসন হালকা বাদামী হয়ে এলে বের করে করলার মিশ্রণে মিশিয়ে নিন।
এর পর প্রয়োজন অনুযায়ী জল দিয়ে মাখিয়ে নিন ও একটু ঠাসা ঠাসা করে মেখে নিন। এখন এই মেখে নেওয়া আটা থেকে কাবাব বানিয়ে নিন।
তৈরি করা কাবাব এর মধ্যে শিক দিয়ে তন্দুর এর মধ্যে ভাজার জন্য রাখুন। কয়েক মিনিট পর কাবাবগুলো চারদিক থেকে ভাজা হয়ে গেলে তন্দুর থেকে নামিয়ে নিন। আপনার সুস্বাদু করলার সিক কাবাব তৈরি। সবুজ মরিচ এবং পুদিনা চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন।