চিংড়ির অন্য স্বাদ পেতে হলে বানিয়ে খান চিংড়ির পোলাও

যারা সামুদ্রিক খাবার খেতে খুব ভালবাসে তাদের জন্য একটি আদর্শ মধ্যাহ্নভোজের রেসিপি হল চিংড়ি পোলাও। এই পোলাও একবার খেলে কিন্তু আপনি আপনার আঙ্গুল চাটতে বাধ্য হবেন। বাসমতি চালের মধ্যে চিংড়ি দিয়ে একটি পদ রান্না করা হয় যার মধ্যে বেশ কিছু মশলা যোগ করা হয়। যেকোনো অনুষ্ঠানের জন্য এই লোভনীয় বাংলা পদটি তৈরি করতে পারেন। চিংড়ি পোলাও কিটি পার্টির মেনুতে যোগ করতে পারেন বা যে কোন ঘরোয়া অনুষ্ঠানে যেখানে অনেক বন্ধুবান্ধব আসবে সেখানেও তৈরি করতে পারেন এই পদ। এই ধাপে ধাপে রেসিপিটি অনুসরণ করুন এবং রাইতা ও সালাদ সহযোগে আপনার বন্ধুবান্ধব ও প্রিয়জনের সাথে অবশ্যই আপনার নিজের ঘরে তৈরি চিংড়ি পোলাও এর স্বাদ উপভোগ করুন।

কি কি লাগবে চিংড়ির পোলাও বানানোর জন্য

  • বাসমতি চাল – ২০০ গ্রাম
  • দারুচিনি কাঠি – ১৫ গ্রাম
  • হলুদ – ১/২ চামচ
  • কাজু – ৩০গ্রাম
  • কেওড়া জল – দুই চামচ
  • ভোজ্য খাদ্য রঙ – এক চিমটি
  • কিশমিশ – ২০-২৫ গ্রাম
  • বড় কাটা পেঁয়াজ – ৩টি
  • কালো এলাচ – ২৫ গ্রাম
  • লবঙ্গ – ৮-১০ টি
  • রসুন বাটা – ১ চামচ
  • গদা পাউডার – ১+১/২ চামচ
  • চিনি – প্রয়োজন অনুযায়ী
  • তেজপাতা – ২৫ গ্রাম
  • বড় সাইজ এর চিংড়ি – ৫00 গ্রাম
  • ঘি – ৪ চামচ
  • নুন – প্রয়োজন অনুযায়ী
  • আদা বাটা – ১ চামচ
  • গুঁড়ো জায়ফল – ১/৪ চামচ

কি ভাবে বানাবেন চিংড়ির পোলাও

প্রথমে এক ঘণ্টা জলের মধ্যে বাসমতি চাল ধুয়ে ভিজিয়ে রেখে দিন। এদিকে  হলুদ, এলাচ, নুন দারুচিনি,  লবঙ্গ, গদা পাউডার এবং তেজপাতা, কিশমিশ দিয়ে  চিংড়িমাছগুলোকে মেরিনেট করে নিন।

এরপর কড়াই গাসের ওপর বসিয়ে এরমধ্যে ঘি যোগ করুন।যখন দেখবেন যে ঘি বেশ গরম হয়ে গেছে তখন তেজপাতা এবং গরম মসলা ঘি এর মধ্যে দিয়ে দিন।পেঁয়াজ দিয়ে দিন তেলের মধ্যে ও রঙ বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন।রসুন ও আদা পেস্ট যোগ করুন এই মিশ্রণের মধ্যে ও আরও ৫-৬ মিনিটের জন্য ভেজে নিন।

এরপর এই মসালার মধ্যে যোগ করে দিন চিংড়িমাছগুলো এবং মিনিট ৫-৬ নাড়িয়ে নাড়িয়ে রান্না করে নিন। এরপর ভেজানো চাল ও পরিমানমত জল দিয়ে দিন এরমধ্যে।  কাজু, চিনি, নুন, জায়ফল গুঁড়া যোগ করে দিন এক এক করে। সব জল শুষে না যাওয়া অব্দি আঁচ কমিয়ে ভাল করে রান্না করে নিন।

চালের মধ্যে যখন সব জল শুকিয়ে যাবে তখন কেওড়া জল ও ঘি এরমধ্যে যোগ করে দিন।ব্যাস চিংড়ির পোলাও তৈরি, এরপর সবাইকে গরম গরম পরিবেশন করুন।

আশা করি কিভা চিংড়ির পোলাও  তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে আমার এই রান্না করার পদ্ধতিটি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। আমার পাঠকদের কাছে রেসিপিটির প্রতিটি দিক সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করার জন্য সবসময়ই চেষ্টা করে থাকি। আপনি কিভাবে চিংড়ির পোলাও রান্নাটি তৈরি করতে পারবেন সে বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য পেতে পারেন ও বাড়িতে কি ভাবে সহজ উপায়ে বেশি সময় না নিয়ে সুস্বাদু চিংড়ির পোলাও তৈরি করে সবাইকে খাওয়াতে পারেন সেই বিষয়টি জানাবার চেষ্টা করেছি। রেসিপিটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment