নতুন ধরনের কোন পায়েস খেতে চাইছেন? তাহলে চেখে দেখুন ডাবের পায়েস

যেকোনো মাসে জন্মদিন হোক বা পুজো-পার্বণ এ হোক, বাঙালির যে কোনও অনুষ্ঠানের মেনুতে পায়েস থাকাটা একেবারে বাধ্যটামুলক। পায়েস খেতে ভালবাসেন না, এমন মানুষ হাতে গোনা।তবে আমরা বেশিরভাগ সময়ই সিমাইয়ের পায়েস বা চালের পায়েস খেয়েই এসেছি এতদিন। মাঝে মাঝে কখনও ছানার পায়েসও হয়ত খেয়েছেন।
কখনও কি ডাব দিয়ে তৈরি পায়েস খেয়ে দেখেছেন কি? না হলে আজই এই নতুন ধরনের এই পায়েস খেয়ে দেখতে পারেন একবার, খেতে কিন্তু দারুন লাগবে! নিচে দেওয়া হল বানাবার পদ্ধতি।

ডাবের পায়েস তৈরির উপকরণ

দুধ – দেড় লিটার
ডাবের শাঁস – ১ বাটি
ছানা – ১৫০ গ্রাম
গোলাপ জল – স্বাদমত
চিনি – স্বাদমতো
কনডেন্সড মিল্ক – ৫০ গ্রাম
পেস্তা – ১২-১৪ টি / পরিমাণমত
কাজুবাদাম – ১০-১২ টি / পরিমাণমত
কিশমিশ – ১০ গ্রাম
এলাচ গুঁড়ো – এক চিমটে

ডাবের পায়েস তৈরির পদ্ধতি

১) প্রথমে গ্যাস এ একটা বড় পাত্র নিয়ে তাতে দুধ জ্বাল দিতে বসিয়ে দিন। দুধ কে ভাল করে ফুটিয়ে বেশ ঘন করে নেবেন।
২) একটি বড় শাঁসযুক্ত ডাব থেকে জলটা বার করে নিন। এরপর ডাব কে মধ্যে খানে দু ভাগ করে তার থেকে শাঁসটা বার করে নিন ও মিক্সিতে পিষে মিহি মিহি করে নিন।
৩) ছানা থেকে জলটা ঝরিয়ে নিন ও এরপর ছানাটাকে ভাল করে মেখে রাখুন।জলের মধ্যে ড্রাই ফ্রুটসগুলো গুলো প্রথম থেকে ভিগিয়ে রেখে দিন ও নরম হয়ে এলে খোসা ছাড়িয়ে রেখে দিন।
৪)এরপর চিনি, কনডেন্সন্ড মিল্ক, গোলাপ জল দুধের সাথে যোগ করে দিয়ে ফুটিয়ে নিন আরও কিছুক্ষণের জন্য।
৫) যখন দেখবেন যে মিশ্রণটি ফুটে বেশ ঘন হয়ে এসেছে তারমধ্যে ছানাটা দিয়ে দিন ও গ্যাসের আঁচ কে কমিয়ে দিয়ে হাতা দিয়ে নাড়তে থাকুন। এর পর এরমধ্যে ডাবের শাঁসটা যোগ করে নাড়িয়ে নাড়িয়ে ভাল করে ছানার সাথে মিশিয়ে দিন।
৬)যখন দেখবেন যে পুরো উপকরন টা বেশ জমাট হয়ে পায়েস তৈরি হয়েছে তখন উপর থেকে গোলকরে কাজু ,কিশমিশ, পেস্তা ছড়িয়ে মিশিয়ে নিন ভাল করে পায়েস এর সাথে । গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিন।
৭) ওপর থেকে এক চিমটে মত গুঁড়ো এলাচ ছড়িয়ে দিন পায়েস এর ওপর ও একটা ঢাকনা দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন, তাহলে পায়েস খেতে হবে আরও সুস্বাদু।

Leave a Comment