হাতে সময় কম অথচ ধোসা খেতে চান? তাহলে চটজলদি বানান সেট ধোসা

সারা দেশে দক্ষিণ ভারতীয় দোসা এর ভক্ত অনেক রয়েছে, যদিও এটি  দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের একটি বিশেষ পদ দোসা। আমরা কখনই না বলতে পারি না যদি সামনে থাকে ধোসা আর সাথে সাম্বার এবং চাটনি। আরেকদিকে খাস্তা দোসা পছন্দ করি যার ভেতরে মুখরোচক আলু থাকে। দক্ষিণ ভারতে বিশাল ভক্ত আছে এই ধোসা দিয়ে তৈরি আর এক রকম ধোসার ওপর। নরম প্যানকেকের মতো পাতলা ধোসা যা একটু বেশ স্পঞ্জি এ খেতেও বেশ হালকা হয় ও সহজপাচ্য এটাকে বলা হয় সেট ধোসা। এই রকমের ধোসাগুলো সাধারণতও আকারে সাধারন ধোসার থেকে একটু ছোট আকারের হয় ও এইরকম অনেকগুলো ধোসা মিলিয়ে একটা পরিবেশন করা হয় বলে এটা সেট ধোসা নামে বেশ পরিচিত। তাহলে জেনে নিন কিভাবে বানাবেন এই সেট ধোসা আর কি কি লাগবে বানাতে। নিচে দেওয়া রইল বানানোর পদ্ধতি।

কি কি লাগবে সেট ধোসা বানানোর জন্য

  • পোহা – ১/২ কাপ
  • সুজি – ১/২ কাপ
  • দই – ২ চামচ
  • নুন – স্বাদ অনুসারে
  • নারকেলের চাটনি
  • জল – পরিমান মত
  • খাবার সোডা – ১/৪ চামচ
  • মাখন – ১/২ চামচ (একটি ধোসার ওপর – অতিরিক্ত)

কিভাবে বানাবেন সেট ধোসা

স্টেপ ১। প্রথমে পোহা বা চিঁড়ে কে ২-৩ বার জলে ধুয়ে নিন। যদি  চিঁড়ে একটু মোটা হয় তাহলে ১মিনিটের জন্য চিঁড়ে বা পোহাকে জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন ও ১ মিনিট পর ছাঁকনি দিয়ে চিঁড়ে থেকে জল ছেঁকে নিন। এবার লাদা করে রেখে দিন।

স্টেপ ২। সুজি, চিঁড়ে (যেটা আলাদা করে রেখেছেন), দই একে একে দিয়ে দিন মিক্সার গ্রিন্দার এর মধ্যে। পরিমান মত নুন দিয়ে দিন এরমধ্যে সমস্ত উপকরন পিষে নিয়ে একটা ঘন ব্যাটার বানিয়ে নিন।

স্টেপ ৩। আলাদা একটি যায়গায় এই পেস্টটি বের করে রাখুন।

স্টেপ ৪। পেস্ট যদি একটু গারো হয় তাহলে এরমধ্যে আরেকটু পরিমানমত জল দিয়ে আবার মিক্সিতে মিশ্রন বানিয়ে নিন। যেন খুব বেশি গাড় বা পাতলা না হয়।

স্টেপ ৫। এর পরে, সামান্য খাবার সোডা মিশিয়ে দিন। এতে ধোসা স্পঞ্জি হবে।

স্টেপ ৬। এরপর নন স্টিক প্যানে সামান্য তেল দিয়ে তেলকে প্যানের মধ্যে গ্রীস বা তেলকে প্যানের চারিদিকের গায়েতে লাগিয়ে দিন। প্যান বেশি গরম হলে সামান্য জল ছিটিয়ে দিন।  গ্যাসের আঁচ কম করে দিন। একটা বড় রান্নার চামচে পেস্ট নিয়ে প্যানের মধ্যে দিয়ে দিন ও চামচে নিচের দিক দিয়ে পেস্ট কে ছড়িয়ে দিন প্যানের মধ্যে। তবে খুব বেশি বড় সাইজ করবেন না। মাঝারি সাইজ এর করুন।

স্টেপ ৭।  ভাজা হতে হতে দেখবেন যে ওপরে অনেক গর্ত তৈরি হবে। কারন সোডা দেওয়া হয়েছে আগে। অপরের অংশ শুকনো মত হয়ে জ্ঞেলে আপনি এর মধ্যে হাফ চামচ মাখন দিয়ে দিতে পারেন। ধোসাকে উলটে দিয়ে অন্য দিকে ভেজে নিন হাল্কা সোনালি রঙ হওয়া অব্দি।

স্টেপ ৮। দুই দিকে ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে ও সোনালি রঙের হয়ে গেলে ধোসা কে বের করে নিয়ে আলাদা যায়গায় রাখুন। দেখবেন বেশি ভাজতে গিয়ে পুরে না যায়। বাকি ধোসা গুলো এইভাবভে বানিয়ে ফেলুন।

স্টেপ ৯। যে চাটনি আপনি খেতে ভালবাসেন সেই চাটনি বা নারকেলের চাটনি দিয়ে খেতে পারেন।

Leave a Comment